ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলায় বেড়েছে হকারদের উৎপাত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
বাণিজ্যমেলায় বেড়েছে হকারদের উৎপাত  এসব হকারদের কারণে মেলায় আসা ক্রেতা-দর্শনার্থীরাও বিরক্ত হন

ঢাকা: বাণিজ্যমেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী ও বেচা-বিক্রি বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হকার সমাগম। হকারদের অবাধ চলাফেরার কারণে মেলায় আগতদের চলাফেরা ও স্টল মালিকদের বেচাবিক্রিতে ব্যাঘাত ঘটছে।

মূলত মেলার প্রবেশ গেটের কর্মীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে হকাররা মেলায় প্রবেশ করছেন। এসব হকার সিটি জুয়েলারি, গৃহস্থালি, খাবার ও খেলনাসামগ্রী বিক্রি করেন।

ফলে জুয়েলারি, গৃহস্থালি ও শিশুদের খেলনার স্টলগুলোতে বেচাবিক্রি কমে গেছে।  

এ নিয়ে ভুক্তভোগীরা রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) অস্থায়ী কার্যালয়ে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।  

শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) বাণিজ্যমেলা ঘুরে দেখা গেছে, ভিআইপি গেট ও পশ্চিম দিকের গেট দিয়ে হকাররা মেলায় প্রবেশ করছেন। গেটের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সঙ্গে এদের সখ্য রয়েছে। এসব হকাররা মেলায় বাচ্চাদের খেলনা, সিটি জুয়েলারি, গৃহস্থালিসামগ্রী বিক্রি করেন। হকারদের কারণে বেচাবিক্রি কমে গেছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন স্টল মালিক।

চায়না গোল্ডের সেলসম্যান রাজু জানান, গত রোববার থেকে মেলায় হকারদের আনাগোনা শুরু হয়। দিন যতই যাচ্ছে হকারদের সংখ্যাও তত বাড়ছে। মেলার দায়িত্বে থাকা পুলিশ হকার উচ্ছেদে মাঝে মধ্যে অভিযান চালালেও তাতে অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। হকারদের কারণে আমাদের বিক্রি কমে গেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোন লাভও হয় না। সকালে বন্ধ করলে বিকেলে শুরু হয়।

একাধিক হকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথম দিকে কড়াকড়ি থাকলেও এখন মেলায় প্রবেশ করতে অসুবিধা হয় না। গেটের কর্মীদের টাকা দিলে পণ্যভর্তি বস্তা নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। পরে তারা সুবিধাজনক জায়গায় পণ্য বিক্রি করেন।

স্বপন নামে এক হকার জানান, গত সপ্তাহ থেকে তিনি গেটম্যানদের সঙ্গে চুক্তি করে মেলায় প্রবেশ করেন। সকালে তিনি পণ্য নিয়ে এলেও বিক্রি শুরু করেন দুপুরের পর। কারণ সকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। তারা যাওয়ার পর মূলত হকাররা বিক্রি শুরু করেন। তিনি জানান, তার মতো প্রায় ১৫ জন হকার জুয়েলারিসামগ্রী বিক্রি করেন। আরো হকার থাকলেও সে সংখ্যা কতো তা তিনি জানাতে পারেন নি।

পিঠা বানানোর যন্ত্র বিক্রি করছেন সোলেমান। তিনি জানান, মেলার গেটে তাদের কেউ আটকায় না। আগে থেকেই কথা বলে রাখা থাকে। তারা যা বিক্রি করবে তার একটি নির্দিষ্ট অংশ গেটের লোকদের দিতে হয়। এজন্য মোবাইল কোর্ট এলে তারা আগে থেকেই খবর পেয়ে যান। তখন পণ্যসামগ্রী লুকিয়ে রেখে পরে আবার বিক্রি শুরু করেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দেশে বিশাল মেলা হলোও সেখানে তাদের জন্য কোন স্থান নেই। তাই আগামী মেলায় যাতে তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান রাখা হয় সেজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদন করবেন।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, মাসব্যাপী এ মেলার পর্দা নামবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।