তবে ইতিবাচক দিক হলো মেলার ১৮তম দিন পার হলেও নেই তেমন অভিযোগ। এবারই সবচেয়ে কম অভিযোগ মেলাতে।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ভিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করে একটু এগোতেই হাতের বামপাশে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অস্থায়ী কার্যালয়। মেলায় নানা প্রত্যারণায় শিকার ভোক্তারা এখানে এসে অভিযোগ করতে পারেন। তবে এবারের বাণিজ্য মেলার ১৮তম দিন পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মাত্র ২৫টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে জরিমানা করা হয়েছে ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এবারের মেলায় অভিযোগ পড়া তুলনামূলক কম। ভোক্তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন না বলেই তাদের অভিযোগের সংখ্যা কম। শনিবার (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত মোট অভিযোগের সংখ্যা ২৫টি। এর মধ্যে জরিমানার করা হয়েছে ৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ৪টি অভিযোগের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বাকি অভিযোগ উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দেয়া হয়েছে।
জরিমানা হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো মধ্যে মূল্য বেশি রাখায় রংপুর মেটালকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ইটালিয়ানো পণ্য না পাওয়ায় ইটালিয়ানো প্যাভিলিয়নকে ৩০ হাজার টাকা, ক্যাশ ব্যাক না দেয়ায় ক্লাসিক্যাল হোমটেক্সকে ১০ হাজার টাকা, মূল্য বেশি রাখায় শাহজাদা স্টোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ২৫ জানুয়ারি খাবারের মূল্য বেশি রাখায় হাজীর বিরিয়ানিকে ১০ হাজার টাকা, মূল্য তালিকা না থাকায় নান্না বিরিয়ানি ও কাবাবকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া একই দিন ১টি পণ্য কিনে অন্যটি ফ্রি না দেয়ায় কানিজ এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মেলায় আশা হাবিবা নামে এক দর্শনার্থী বলেন, এবার পণ্যের দাম কিছুটা বেশি হলেও তালিকা টানানো আছে স্টলে। তবে খাবারেরর দাম নিয়ে আপত্তি আছে। যদিও তারা মূল্য তালিকা রাখছে।
ভোক্তা অধিদফতরের সহকারি পরিচালক (গবেষণা) প্রণব কুমার প্রামাণিক বলেন, আমরা শুধু ভোক্তার অভিযোগের অপেক্ষায় থাকছি না। আমরা নিজেরাও নিয়মিত মেলায় ঘুরে দেখছি। সন্দেহ হলে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তবে বিক্রেতারা এখন সচেতন হয়েছে তাই অভিযোগ কম হচ্ছে। আমরা ভোক্তার অধিকার আদায়ে মেলার শেষ দিন পর্যন্ত আছি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনু্যায়ী, মাসব্যাপী এ মেলা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্দা নামবে। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। প্রাপ্ত বয়স্কদের প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। এবারই প্রথম মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে।
মেলায় প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে রয়েছে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল ৪১২টি।
এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘন্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৮
ইএআর/এসএইচ