সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে চলমান এ মেলায় এমন চিত্রই চোখে পড়েছে।
শেষপর্যায়ের মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড় ব্যাপক।
মেলার গেটের বাইরে দুই বা তিন বছর বয়সী আরেকটি শিশুকে দেখতে পাওয়া যায়। একটি থালা সামনে তার। পরিকল্পনা করে থালাটি টান দিলে এগিয়ে আসেন তসলিমা নামের এক নারী। আগারগাঁও বস্তিতে থাকেন তিনি। তখন বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাচ্চাটি ভাড়া করে নিয়ে এসেছি বস্তির পাশের ঘর থেকে। দিন প্রতি ২০০ টাকা দিতে হবে বাচ্চাটির বাবা-মা-কে। মেলায় অনেক লোক আসে।
ভিক্ষার এমন সুযোগ খুব কম পাওয়া যায় বলেই এমন কাজে মেতেছেন তারা। তবে বাচ্চা ভাড়া নিয়ে সারাবছরই ভিক্ষা করেন তসলিমা।
এদিকে, মেলার ভেতরে এরা কিভাবে প্রবেশ করে- জানতে চাইলে মেলার ভেতরে থাকা দু’টি শিশু বাংলানিউজকে জানায়, তাদের অভিভাবকরা মেলার খাবারের স্টলে কাজ করেন। সে সুবাদে তারাও মেলায় ঢুকতে পারে। তবে সকালে ঢুকলে একেবারে রাতে বের হতে হয় তাদের। আবার অনেকে গেটের সামনে ওত পেতে বসে থাকে। যেকোনো এক সুযোগেই মেলার গেটের প্রহরিদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দ্রুত ঢুকে যায়।
এ ধরনের ‘ভণ্ড’ ভিক্ষুকদের অনেকেই শিশু বয়সের হলেও নেশা করে বলে জানা গেছে। ভিক্ষার টাকা দিয়ে হয় তাদের নেশা।
লিমন নামে দর্শনার্থী এক ‘ভণ্ড’ ভিক্ষুককে টাকা দিচ্ছিলেন। কিন্তু সে টাকা না নিয়ে তার সামনেই বাংলানিউজের প্রতিনিধির ভয়ে উঠে দৌঁড়ে পালায়। বাংলানিউজকে তখন লিমন বলেন, ওরা আসলে ইমোশনে নাড়া দেয় বলেই আমরা টাকা দিই। আমাদের তো আর যাচাই করে ভিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। আর ওরা বেশ জীর্ণশীর্ণ বলেই ধরা যায় না আসলেই পঙ্গু না ভণ্ড। এটা মেলার বাইরে বেশি। ভেতরে যারা ঢুকতে পারে, ওদের তো তাহলে বাম্পার অবস্থা।
তবে এসব ‘ভণ্ড’ ভিক্ষুক ছাড়াও অসহায় দরিদ্র বা প্রতিবন্ধী কিংবা কাজ করতে পারে না ও বয়স্ক মানুষদের ভিক্ষার থালা নিয়ে ঘুরতে দেখা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এমএএম/টিএ