ঢাকা: সুযোগ পেলে অনেকেই ভ্রমণে বের হন। সাধ্য অনুযায়ী তা হোক দেশে কিংবা বিদেশে।
১. ব্যাক প্যাক (প্যাকার):
কোথাও যাওয়ার আগে ব্যাক পেকার বা পেছনে ঝুলন্ত ব্যাগ নিয়ে যাওয়ার অভ্যেস করুন। যা পর্যটন বান্ধব। কেননা ভ্রমণে যাওয়ার আগে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাপড়-চোপড় ও নানা জিনিসপত্র নিতে চান। তাদের জন্য এটি খুবই কাজে দেবে।
২. আলাদা-আলাদা টাকা রাখুন:
বাড়িতে কীভাবে আপনার এটিএম কার্ড কিংবা চেক বই অথবা টাকা-পয়সা রাখতে হয় তা অবশ্যই ভালোভাবে জানেন! তবে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সেভাবে টাকা-পয়সা রাখতে যাবেন না। এক জায়গায় টাকা কিংবা এটিএম কার্ড হারিয়ে গেলে বিপদে পড়তে হবে!
৩. মানিব্যাগ বা পার্স কখনই জিন্সের পকেটে নয়:
প্যান্টের পেছন পকেটে মানিব্যাগ বা পার্স রাখা এড়িয়ে চলুন। জ্যাকেটের সামনের পকেটে রাখার চেষ্টা করুন। এছাড়া কোমরে শার্টের নিচে আলাদা বেল্টওয়ালা ব্যাগও সঙ্গে রাখতে পারেন।
৪. গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট ফটোকপি অথবা স্ক্যান করে রাখুন:
ভ্রমণে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র অর্থাৎ পাসপোর্ট এবং ভিসা, ভ্রমণ বিমা ইত্যাদি ফটোকপি ও স্ক্যান করে সঙ্গে রাখুন। তবে তা কোনোভাবেই লাগেজে রাখতে যাবেন না। লাগেজ হারিয়ে গেলে বেশ কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে।
তবে ডিজিটাল বিশ্বে এসব নথিপত্র স্ক্যান করে মেইলেও অ্যাটাচ করে রাখতে পারেন।
৫. অপরিচিত কিংবা আগন্তুক থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন:
ভ্রমণের সময় বন্ধু বেশধারী আগন্তুক কিংবা অপরিচিতদের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। কারণ তারা আপনার সর্বনাশের কারণ হতে পারে। তাই ব্যক্তিগত ও ভ্রমণ নিরাপত্তার জন্য তাদের এড়িয়ে চলাই উত্তম।
৬. ভ্রমণ বিমা করুন:
সাধারণত ভ্রমণে গিয়ে অসুস্থ্য কিংবা আহত হলে চিকিৎসার জন্য বিমা করা হয়ে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের খরচাপাতি ওই বিমা থেকে পাওয়া যেতে পারে।
৭. প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থাও সঙ্গে রাখুন:
ধরুণ, কোথাও ভ্রমণে গিয়ে আপনি অসুস্থ্য হয়ে পড়লেন কিংবা সামান্য আহত হয়েছেন! তখন কী করবেন? হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে কাছে থাকা বিভিন্ন ওষুধ বা প্রাথমিক ওষুধপত্র কাজে লাগবে।
৮. প্রাচুর্যতা পরিহার করুন:
কোথাও ভ্রমণে গিয়ে বিত্ত-বৈভব কিংবা আপনার প্রাচুর্যতা দেখাতে যাবেন না। সেক্ষেত্রে তা হিতে বিপরীত হতে পারে, মুখোমুখি হতে পারেন নানা ঝামেলার। দামি জিনিসপত্র বিশেষ করে স্বর্ণালঙ্কার ও ক্যামেরার কারণে ছিনতাইকারীদের টার্গেট হতে পারেন আপনি। সুতরাং বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ...
৯. নিরাপদে রাখুন লাগেজ:
রেস্টুরেন্ট কিংবা কোনো এলাকায় আপনার লাগেজ রেখে চলে যাবেন না। এতে লাগেজ হারাতে পারেন। তাই যত সম্ভব লাগেজ কিংবা ব্যাগটি কাছাকাছি রাখুন।
১০. ইন্টারনেট ক্যাফেতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সতর্ক হোন:
ভ্রমণের সময় ইন্টারনেট ক্যাফেতে আপনার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতন হোন। কেননা অনেক সময় ক্যাফেতে আপনার ক্রেডিট কার্ডে কী রেকর্ড করে রাখার মতো হার্ডওয়ার বা সফটওয়ার থাকতে পারে। যদি এমন হয় তবে আপনাকে বেশ ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।
১১. ভেবে চিন্তে ভ্রমণ সঙ্গী বাছাই করুন:
আপনার কোনো স্বীকৃত শত্রুর সঙ্গে ভ্রমণে যাবেন না কখনোই। তিনি যদি প্রতিশোধ প্রবণ হন তবে আপনাকে ভুলিয়ে বিপদে ফেলতে পারেন।
যদি ওই ব্যক্তি ভ্রমণে কোনো অঘটন ঘটিয়েই ফেলে তবে আপনি চিৎকারও করেও কারও সাহায্য পাবেন না। তাই ভেবে চিন্তে ভ্রমণ সঙ্গী বেছে নেয়াই উত্তম।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৪