ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

উড়ন্ত প্লেনে মুখোরোচক খাবার-২

ট্রাভেলার্স নোটবুক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪
উড়ন্ত প্লেনে মুখোরোচক খাবার-২

আকাশে মেঘে ভেসে যাওয়ার সময় যাত্রীদের মুখরোচক খাবার পরিবেশন করে বিভিন্ন বিমান সংস্থা। যাত্রীদের রুচি ও সন্তুষ্টির কথা মাথায় রেখে নাস্তার মেনু ঠিক করে তারা।



এরপরও প্লেনে পরিবেশিত খাবার নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে নানা ধরনের নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়। আর এসব খাবার নিয়ে মানুষের আগ্রহেরও কমতি নেই।

এই পর্বে বাংলানিউজের ‘ট্রাভেলার্স নোটবুক’ পাঠকদের জন্য যাত্রীদের মধ্যে পরিবেশিত খাবারের বাকি মেন্যু দেওয়া হলো।

ব্যবসা পরিচালনায় বেশ সুনাম রয়েছে তাইওয়ানের ইভা এয়ারওয়েজের। প্রতিষ্ঠানটি হ্যালো কিটি জেট সার্ভিসে ব্রেকফাস্টে তোফু, মিশু স্যূপ, টমেটো এবং ভেজিটেবল সালাদ দিয়ে থাকে যাত্রীদের।

এছাড়া বিশেষ আকর্ষণ থাকে তামায়োগাকি (জাপানিজ ওমলেট)। এর সঙ্গে দেওয়া হয় রাইস, ব্রোকোলি চিংড়ি এবং মাশরুম। আর বাড়তি স্বাদ হিসাবে আচার তো আছেই।  

যাত্রীদের সন্তুষ্টিকে গুরুত্ব দেয় ট্রান্স এশিয়া এয়ারওয়েজ। আকাশপথে ক্ষুধার্ত বিজনেস ক্লাশের যাত্রীদের জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করে থাকে সংস্থাটি।
ভেজিটেবল এবং গরুর মাংস ভুনা এবং টমেটো সালাদের সঙ্গে রাইস, দুই রুটি ও রোল দেওয়া হয়। থাকে পুডিং এবং বাদামের ফ্লেভারে সুস্বাদু কেক।

প্রত্যেক যাত্রীর জন্য সিরামিকসের সুদৃশ্য পাত্রে লবণ ও মরিচ শেকার সরবরাহ করে সংস্থাটি।  

বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য মজাদার খাবারের আয়োজন করে তুর্কি এয়ারলাইন্স। ইস্তাম্বুল থেকে জুরিখ রুটের যাত্রীদের জন্য হাম, রুটি, শশা ও টমেটার সালাদ এবং পনির ও জলপাই দেওয়া হয়।

যাত্রীদের জন্য ঐতিহ্যবাহী হোয়েভস রেনচিরস পরিবেশন করে মেক্সিকোর বিমান সংস্থা। সুস্বাদু ও রসালো ফল আম এবং উপকারী মধুও দেওয়া হয়।

তাইওয়ান থেকে হো চি মিন সিটি রুটে ফ্লাইটের যাত্রীদের বেশ ভারি খাবার পরিবেশন করে ভিয়েতনামিজ এয়ারলাইন্স।

এর মধ্যে ইয়োগার্ট, ফল-ফলাদি বিশেষ করে আপেল কিংবা আনারস, টমেটো ও ব্রোকৌলির সালাদ থাকে, সঙ্গে থাকে রুটিও। এসবই দেওয়া হয় প্লেনের ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীদের জন্য।  

লুফথানসা! ইউরোপের ‍অন্যতম বিলাসবহুল কোচ সম্বলিত উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহন করে জামার্নির এ সংস্থাটি। এলিগ্যান্ট বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের মুরগীর রোস্ট আর ব্লুবেরির সঙ্গে কোহলরাবি সালাদ দিয়ে থাকে। রুটির পাশাপাশি এক গ্লাস হোয়াইট ওয়াইন ও রোল পরিবেশন করা হয়।

ফল-ফলাদির পাশাপাশি ইয়োগার্ট পরিবেশন করা হয়। থাকে সুস্বাদু মিষ্টিও।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স তাদের ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীদের জন্য মাংসের রোস্টসহ রাইস, রুটি এবং সবুজ চা পরিবেশন করে। থাকে আপেল এবং সেলারিও।

লন্ডন-টরোন্টো রুটের ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীদের জন্য রান্না করা খাবার পরিবেশন করে এয়ার কানাডা। এর মধ্যে আছে ওমলেট, শাকসবজি ও টমেটোর সস। বাদ যায় না ফল-ফলাদিও। তবে এক ধরনের রুটি তাদের খাবারের স্বাদকে দেয় আলাদা জেল্লা।

নিউইয়র্ক-মেক্সিকো-সিটি রুটে যাত্রীদের লাঞ্চে স্যান্ডউইচ বক্স দিয়ে থাকে অ্যারো মেক্সিকো। এর সঙ্গে থাকে পনির, সালাদ, চকোলেট কেক এবং রুটি। পুরো খাবারই ক্লিংফিল্ম দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পরিবেশন করা হয়।

এয়ার ফ্রান্স ইকোনমি ক্লাসের যাত্রীদের চিকেন ও পাস্তা খেতে দেওয়া হয়। সঙ্গে রুটি এবং ডেজার্টও থাকে।


বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪

** উড়ন্ত প্লেনে মুখোরোচক খাবার...

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।