ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

প্রকৃতির অজানা পুরাকীর্তি

ট্রাভেলার্স নোটবুক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৪
প্রকৃতির অজানা পুরাকীর্তি

বিপুলা এ বিশ্বের কতটুকুই বা আমরা জানি! ঠিক তাই, সভ্যতার এত বছর পরও স্থলভাগের অধিকাংশ আমাদের অজানাই থেকে গেছে। শতাব্দীব্যাপী সব যুদ্ধের কারণে দীর্ঘযুগ দ্বীপগুলো বিভিন্ন গোষ্ঠীর দখলে ছিল।

এর মধ্যে সেল্ট (লৌহযুগের আদিবাসী গোষ্ঠী) বনাম ভাইকিংস (নরওয়ের সমুদ্র দস্যু) কিংবা ইংরেজ বনাম স্কটদের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করা যায়।

এখনও প্রায় পাঁচশরও বেশি দ্বীপ নানা আদিবাসীর বাসস্থান। তারপরও দ্বীপগুলোর নজরকাড়া গুহা, পাহাড় চূড়াসহ পাথরের স্তম্ভগুলো পর্যটকদের মনযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে। তেমনি কিছু অজানা প্রাকৃতিক পুরাকীর্তির খোঁজ দিতেই এ আয়োজন।   

কুয়াশার পর্দা
দুই হাজার বছর আগে শুষ্ক পাথরের দোতলা দুর্গটি তৈরি হয়েছিলো লৌহ যুগে। ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টপূর্ব ১২০০ থেকে খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ সালের মধ্যে দ‍ুর্গটি তৈরি করা হয়। এটি স্কটল্যান্ডের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে একটি। পুরো দুর্গটি না থাকলেও এর কিছু ধ্বংসাবশেষ এখনো রয়েছে। এর প্রস্থ ১৫ মিটার এবং উচ্চতা ৯ মিটার। স্কটিশরা মনে করেন, দুর্গটির আশপাশে বসবাস করলে পারিবারিক ও স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা পাওয়া যাবে।

অ্যানসিয়েন্ট রকস
মিশরের পিরামিডের মতো তিনশ’ কোটি বছর আগের পাথরগুলো আজও ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব তিন থেকে এক হাজার সালের মধ্যে পাথরগুলো তৈরি হয়েছে। সময়ের বিবর্তনে প্রাকৃতিকভাবে গোলাকার হয়ে গেছে এগুলো। এর মধ্যে বাইরের পাথরগুলো তিন মিটার এবং মাঝের পাথরগুলো সাড়ে চার মিটার উঁচু। দক্ষিণ ইংল্যান্ডের অনেক দূর থেকে এ পাথরগুলো দেখা যায়।

সিক্স সাইডেড স্ট্রাকচার
স্কটল্যান্ডের স্টাফা দ্বীপের ফিঙ্গালস গুহার ভিতর যদি নৌকা ভ্রমণে বের হন, তাহলে আপনি এ পাথরগুলো দেখতে পাবেন। ষড়ভূজাকৃতি পাথরের এ পিলারগুলো প্রায় ২৩ মিটার লম্বা  এবং ৮২ মিটার গভীর। পাথরগুলোর কারণেই গুহাটি হয়ে উঠেছে আরও অসাধারণ।

আইকনিক ওয়াইল্ডলাইফ
পাফিন (সামুদ্রিক পাখি), সোনালি ঈগল, হাঙর, তিমি, ডলফিন, ভোঁদড় কি নেই এখানে। ‘আইকনিক ওয়াইল্ডলাইফ’ হলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাখিদের কলোনি। প্রায় ৬০ হাজার পাখি বাসা বেঁধে এখানে বাস করে। নামের প্রতি শতভাগ সুবিচার করে সমুদ্রের মাঝে এখনও মাথা উঁচু করে রয়েছে বন্যপ্রাণীদের এ আবাসস্থল।   

ল্যান্ড অ্যাজ ওল্ড
প্রাচীন যুগের ভূমিধসের ধ্বংসাবশেষের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে এটি। ভূতাত্ত্বিক বিপর্য়য়ের অনন্য সাক্ষী হিসেবে প্রথমেই আসে ব্যাসল্ট চূড়াগুলোর কথা। পাথরগুলোর এমন অদ্ভুত আকারের কারণেও পর্যটকদের নজর কাড়ে।    

প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।

আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।  

প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন- 


বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।