বাংলা সাহিত্যের দিকপাল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মভিটা কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ী। তিনি যে বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তার প্রমাণ মেলে রবীন্দ্র-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত রবীন্দ্র মিউজিয়ামে গেলে।
সেখানে যাওয়ার পর রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে অজ্ঞাত অনেক কিছুই জানা হয়েছে। তিনতলা বিশিষ্ট এ সংগ্রহশালাটি পরিপাটি ও বেশ গোছানো।
রবীন্দ্র সংগীতের মোহনীয় সুরের সঙ্গে সংগ্রহশালাটি দর্শন করা যায় অনায়সে। আর ঘুরতে ঘুরতে তার বহুমুখী প্রতিভার প্রকাশ ও বিশ্ব সম্পর্কে ধারণার ব্যাপকতা দেখে মুগ্ধ তো হতেই হয়।
দ্বিতীয় তলায় আছে-বংশ তালিকা, ব্যবহৃত জিনিসপত্র, কবিপত্নী মৃণালী দেবীর রান্নাঘর ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র, শিল্পাচার্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈলচিত্র, ল্যান্ডস্ক্যাপ-ব্যবহৃত জিনিসপত্রও।
আছে জাপানের স্মৃতি সংগ্রহশালা। রবীন্দ্রনাথের বইপত্র, দেশ-বিদেশের পত্রিকায় তার সম্পর্কে লেখা সংবাদ/লেখা, ম্যাগাজিন ও পত্রিকার কাটিং।
এছাড়া রবীন্দ্রনাথের আঁতুর ঘর, প্রসবকালীন ঘর, পড়ার ঘর, সাহিত্য চর্চা/লেখার ঘর, গান শোনার ঘর।
রয়েছে তার গান গাওয়ার ঘর, নিজের চিত্রকর্ম ও ব্যবহৃত কাপড় আর অন্যান্য জিনিসপত্রও।
রবীন্দ্রনাথ ও অবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈলচিত্রে ব্যবহৃত উপকরণ এবং তার বংশের বিভিন্নজনের ছবি আর ডায়াগ্রাম।
বাংলাদেশের শিলাইদহে অবস্থানের সময় চৈত্রমাসের স্মৃতি বিজড়িত ও উপভোগ্য দিনের একটি চিত্রকর্মও চোখে পড়বে সেখানে। এছাড়া আরও অনেক চিত্রকর্মও সেখানে আছে।
রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আঁকা বিশ্বের বিখ্যাত ব্যক্তির চিত্রকর্ম নিয়ে ‘স্মরণীয় কক্ষ’ও রয়েছে। রয়েছে বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী ও হাশেম খানের চিত্রকর্মও।
অন্য প্রান্তে বাংলাদেশ সরকারের উপহার দেওয়া নৌকা শোভা পাচ্ছে। আর তৃতীয় তলায় ঠাকুর বংশের কিংবা পরিচিতজনের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, চিত্রকর্ম আর তৈলচিত্র গান শুনতে শুনতে একদিক থেকে ঢুকে পর্যায়ক্রমে সব দেখে শেষ করে বের হওয়া যায়। তবে সেখানকার কোনো ছবি তোলা নিষেধ।
মিউজিয়ামের প্রবেশ ফি ২০ টাকা। সকাল ১০টা থেকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে। সহযোগিতার জন্য সংগ্রহশালার প্রতিটি কক্ষেই রয়েছে গাইড।
তিলোত্তমা কলকাতার সেন্ট্রাল রোড, এরপর রবীন্দ্র সরণিতে অবস্থিত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়ী। তো হাতে একটু সময় করেই ঘুরে আসতে পারেন রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি ঘেরা বাড়িটি থেকে।
প্রিয় পাঠক, ভ্রমণ যাদের নেশা, বেড়ানোর সুযোগ এলে যারা উড়িয়ে দেন সব বাধা, কাজের অংশ হিসেবে যারা ভ্রমণ করেন কিংবা যাদের কালেভদ্রে সুযোগ হয় ভ্রমণের তারা সবাই হতে পারেন ট্রাভেলার্স নোটবুক’র লেখক।
আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারেন বাংলানিউজের পাঠকদের সঙ্গে।
আর একটা কথা লেখার সঙ্গে ছবি পাঠাতে ভুলবেনই না, সেই সঙ্গে বাতলে দিন সেখানে যাওয়ার পথঘাটের বিবরণও।
প্রিয় পাঠক, আপনার ভ্রমণ আনন্দ বিশ্বজুড়ে বাঙালির কাছে ছড়িয়ে দিতে আমাদের ই-মেইল করুন-
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৫
এমএ