ঢাকা: চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে কম বরাদ্দ পেয়েছে পর্যটন মন্ত্রণালয়। পর্যটন বর্ষ শুরুর জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, বরাদ্দ তার চেয়েও অনেক কম।
শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে মহাখালীর হোটেল অবকাশে অ্যাভিয়েশন ও ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরামের (এটিজেএফবি) ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন একথা বলেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সহায়তায় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে পর্যটন নিয়ে কাজ করা ১০ জন সাংবাদিকের হাতে ফেলোশিপ সার্টিফিকেট ও ৬০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
মন্ত্রী বলেন, এ খাতে যেভাবে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন ছিলো সেটি তৈরি হয়নি। ২০১৬-তেই যে সব উন্নয়ন হয়ে যাবে, বিষয়টি এমন নয়। তবে এটুকু বলা যায়, ২০১৬ থেকে পর্যটনের উন্নয়ন শুরু হবে। পর্যটন বর্ষ পালনের জন্য এ খাতের অংশীজনদের নিয়ে কমিটি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, শুধু কানেক্টিভিটি করলেই হবে না, একই সঙ্গে পর্যটকদের আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থাও থাকতে হবে। কক্সবাজারে ১২৫ একর জমির উপরে এক্সক্লুসিভ টুরিস্ট জোন তৈরি করা হবে। দরপত্র ডাকা হবে আগামী ৩০ জুলাই।
কক্সবাজার ছাড়াও খুলনার মংলা ও সুন্দরবন এবং পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে ঘিরেও উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে কক্সবাজারকে একটি সেলেবল (বিক্রয়যোগ্য) প্রোডাক্ট হিসেবে তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে। এর জন্য কক্সবাজারে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে, আগামী ৩০ মাসের মধ্যে এটি তৈরি হয়ে যাবে।
রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এই বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন এবং রেললাইন সংযোগের বিষয়েও কাজ চলছে। ২০১৬ সালের মধ্যে ঘুমধুম পর্যন্ত রেল সংযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ককে চার লেন ও কক্সবাজার থেকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভকে দুই লেনে উন্নীত করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পর্যটন সচিব খুরশেদ আলম চৌধুরী, পর্যটন বিষয়ক পাক্ষিক বাংলাদেশ মনিটরের সম্পাদক কাজী ওয়াহেদুল আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৫
এসইউজে/এএ