ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

ঐতিহ্যের আহসান মঞ্জিল

ফজলে রেজওয়ান করিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
ঐতিহ্যের আহসান মঞ্জিল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এককালের ব্রিটিশ ভারতের নবাবদের বাসভবন ও কাচারি আহসান মঞ্জিল। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের অংশ এটি।

পুরান ঢাকার সুরম্য দৃষ্টিনন্দন শৈলীর এ স্থাপনাটি এখন জাদুঘর।

পুরান ঢাকার ইসলামপুর থেকে ঘিঞ্জি ও সরু নবাব বাড়ি রোড বা আহসানউল্লাহ রোড দিয়ে চলে যেতে হবে বুড়িগঙ্গার তীরে। নোংরা, কাদা, দুর্গন্ধ আর বিরক্তিকর পথ মাড়াতে মাড়াতে দৃষ্টি কাড়বে গোলাপি আভার সুরম্য এক স্থাপনা। দেখে চিনতে ভুল হবে না এটিই আহসান মঞ্জিল।

নামমাত্র মূল্যে টিকিট কেটে ভিতরে ঢুকতেই ডানপাশে দেখা যাবে একটি উন্মুক্ত ফটক। যা আগে সৈনিকদের ব্যারাক ও প্রহরী কক্ষ হিসেবে ব্যবহার হতো। আহসান মঞ্জিলের মূল প্রাসাদটি এখন ব্যবহার হচ্ছে জাদুঘর হিসেবে।

জানা যায়, মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি নামক একটি ইউরোপীয় নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ১৮৫৯ সালে এর নির্মাণ কাজ শুরু করেন খাজা আব্দুল গনি। ১৮৮২ নির্মাণ কাজ শেষের পর পুত্র খাজা আহসানুল্লাহর নামানুসারে তিনি ভবনের নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল।

প্রায় এক মিটার উ‍ঁচু বেদির উপর স্থাপিত দ্বিতল প্রাসাদটির উত্তর ও দক্ষিণ দিকে অর্ধবৃত্তাকার প্রশস্ত বারান্দা। নীচতলায় ডাইনিং ও ড্রইংরুমসহ রয়েছে পাঁচটি কক্ষ। সেগুলোতে নবাবদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র রাখা আছে।
এছাড়াও আছে সেকালে ব্যবহার্য সার্জারিক্যাল উপকরণ ও অন্যান্য জিনিস। দোতলায় রয়েছে ড্রইং, লাইব্রেরি, কার্ডরুম, জলসাঘরসহ ১৩টি কক্ষ।

১৯৫২ সালে জমিদারি উচ্ছেদ হওয়ার অর্থের অভাবে প্রাসাদটি রক্ষাবেক্ষণ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে নবাবের উত্তরাধিদের। পরে এটির কক্ষ ভাড়া দেওয়ায় এক সময় নোংরা বস্তিতে পরিণত হয়। ১৯৮৫ সালে সরকার আহসান মঞ্জিল ও সংলগ্ন চত্বর অধিগ্রহণ করে ১৯৯২ সালে সংস্কার কাজ শেষ করে। ওই বছরেরই ২০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাসাদটি জাদুঘর হিসেবে রূপান্তরিত হয়।

লেখক: ফজলে রেজওয়ান করিম
নিউজ রুম এডিটর, মোহনা টেলিভিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৫
এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।