গোয়াইনঘাট থেকে ফিরে: দূর আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, তার কোলে ঘুমায় পাহাড়। সবুজ রঙা পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট ঝর্ণা।
বাংলাদেশের সীমান্তে বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে পাহাড় ঘেরা ভারতের মেঘালয়। সেই মেঘালয়ের সারি সারি পাহাড় বেয়ে সীমানা পেরিয়ে স্বচ্ছ জলের ধারায় সিক্ত বাংলাদেশ।
সিলেট শহর পেরিয়ে কিছু দূর গেলেই চোখে পড়বে কালো মেঘের মত পাহাড়। তার উপর সাদা মেঘের ভেলা। যতো দূর এগোনো যাবে ততই চোখে স্পস্ট হতে থাকবে বিস্তৃত সীমান্তজুড়ে পাহাড়।
সিএনজি কিংবা ব্যক্তিগত যানে গোয়াইনঘাট উপজেলার হাদারপাড়ে পিয়ং নদী। সিলেট নগরীর আম্বরখানা থেকে এখানে পৌঁছাতে সিএনজিতে খরচ পড়বে জনপ্রতি ৮০ টাকা। কয়েকজন মিলেও নেওয়া যেতে পারে সিএনজি।
হাদারপাড়ে পিয়ং নদীর ঘাটে দাঁড়ানো আছে নৌকা। অ্যাডভেঞ্চারের জন্য চাইলে হেটেও যেতে পারেন, নয়তো পাঁচশ’ থেকে এক হাজার টাকার মধ্যে নৌকা ভাড়া করে ভ্রমণ শুরু করা যাবে বিছানাকান্দির উদ্দেশ্যে।
নদীতে সারি সারি নৌকা দিয়ে কেউ পাথর তুলছেন, কেউ শিকার করছেন মাছ। আর দূর আকাশের সঙ্গে মেশা পাহাড় হাতছানি দিচ্ছে আপনাকে।
বিছানাকান্দিতে পৌঁছাতেই আপনার নজর কাড়বে পাহাড় থেকে মেনে আসা স্বচ্ছ পানির ধারা। নদীর পাড়ে থরে থরে সাজানো পাথর, ছোট বড় সেই পাথরের গা ভিজে স্বচ্ছ পানির মৃদু স্রোত নিমিষেই টানবে আপনাকে। শীতল পানিতে পা ভেজালেই যেন সব ক্লান্তির অবসান।
কোথায় ঘুরবেন, কীভাবে ঘুরবেন- তা জানার জন্য সহায়তা নিতে পারবেন বিজিবির। বিছানাকন্দিতে রয়েছে বিজিবির একটি অফিস, ঘুরে দেখার আগে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে নিতে পারবেন। তাহলেই নিরাপদ, আনন্দঘন হবে প্রকৃতির দর্শন।
বিকেলের রোদে সবুজ পাহাড় যেন হেঁসে উঠছে, পর্যটক রোদের ঝিলিক মুখে মেখে পাথরে বসে, স্রোতে দাঁড়িয়ে ক্যামেরায় ক্লিক ক্লিক...। আশেপাশের কিছু এলাকায় এভাবে ঘুরে বেড়ানো যাবে। ক্যামেরার ব্যাকগ্রাউন্ড থাকবে বিস্তৃর্ণ পাহাড়।
তবে সাবধান, মাদক সাধতে পারেন দালালরা। ভুল করেও সীমান্ত পার হওয়া যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৫
এমআইএইচ/বিএস