ঢাকা: মোটরবাইকে পাঁচদিনে দেশের সব জেলা ভ্রমণ শেষ করেছেন বাইকার জুন সাদিকুল্লাহ। ৪৫তম মহান বিজয় দিবস উদযাপনে ঢাকা থেকে বিজয়ের প্রথম প্রহরে ৬৪ জেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি।
এ ভ্রমণ দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসর্গ করেছেন জুন। যারা একাত্তরে দেশমাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে গিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন।
রোববার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় কক্সবাজার পৌঁছেই তার ৬৪ জেলা ভ্রমন শেষ হয়। সেখান থেকেই বাংলানিউজকে মোবাইল ফোনে তিনি জানান, ৫ দিনে তিনি ৬৪ জেলা ভ্রমণ শেষ করেছেন। এ ভ্রমণ বিজয়ের চেতনায় এবং উৎসর্গ দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাদেরকে।
জুন সাদিকুল্লাহ আরও বলেন, ‘এতো আনন্দ কোনো সময় পাইনি’।
সেদিনই তিনি বিমানযোগে ঢাকায় ফেরেন।
এ ভ্রমনে তার সঙ্গী ছিলো ‘লিফান কেপিআর’ নামের মোটরবাইক। এ বাইকে চড়ে একটানা ৩ হাজার ৯শ’ ৫৯ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে শেষ হয় বিজয়ের ৬৪ জেলা ভ্রমণ।
মোটরবাইকে একটানা দ্রুততম সময়ে দেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণের ঘটনা এটাই প্রথম।
জুন বলেন, ‘পরিকল্পনা ছিলো, চারদিনে ৬৪ জেলা ভ্রমণ শেষ হবে। কিন্তু সুনামগঞ্জের হাওর অঞ্চল এবং বরিশালে নদী-ফেরি ইত্যাদি পথ মাড়িয়ে জেলায় জেলায় পৌঁছাতে একটু দেরি হয়েছে’।
‘তবে সবচেয়ে ভালো লাগছে, যে লক্ষ্য নিয়ে বের হয়েছিলাম- তা আমি শেষ করতে পেরেছি’- বলেন তিনি।
জুন সাদিকুল্লাহর ভ্রমণ ঢাকা থেকে শুরু হয়ে গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী পেরিয়ে পূণ্যভূমি সিলেটে পৌঁছে বিজয়ের দিন দুপুরেই। এরপর সুনামগঞ্জ জেলা পেরিয়ে নেত্রকোনা, জামালপুর টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, গাইবান্ধা হয়ে রংপুর, লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম পৌঁছান।
এভাবে উত্তরবঙ্গ শেষে দক্ষিণবঙ্গ এবং পরে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিকে যান তিনি। কক্সবাজারে গিয়ে শেষ হয় ৬৪ জেলা ভ্রমণ।
তার এ ভ্রমণে তিনি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন ক্যাম্পেইন পরিচালনা করেন। নিরাপদে বাইক চড়তে গিয়ে যেসব সতর্কতা অবলম্বন দরকার তা জানান তিনি।
জুন সাদিকুল্লাহ বাইকার হিসেবে ঢাকায় পরিচিত। আর নারায়ণগঞ্জে একটি বেরসরকারি প্রতিষ্ঠানেও কর্মরত আছেন। এর আগে তিনি দেশে প্রথমবারের মতো ২৪ ঘণ্টায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ভ্রমণ করে রেকর্ড গড়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এসএ/এএসআর