ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে একটু সুযোগ করে ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পে নির্মিত মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার বালিয়াটি ইউনিয়নে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি।
যা বর্তমানে বলিয়াটি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত।
বালিয়াটি জমিদারদের পূর্বপুরুষ গোবিন্দ রায় সাহা ছিলেন একজন ধনাঢ্য লবণ ব্যবসায়ী। এখান থেকেই ব্যবসা প্রসার করেছেন তিনি।
ধলেশ্বরী বিধৌত মানিকগঞ্জের বালিয়াটিতে অবস্থিত এ জমিদার বাড়ির আয়তন প্রায় ৫ দশমিক ৮৮ একর। পুরো চত্বরটি উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা।
undefined
আছে প্রাচীন ঐতিহ্যের ইমারত। যেখানে মোট কক্ষ রয়েছে দুই’শ। প্রতিটি কক্ষেই দেখা যাবে প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের নিপুণ কারুকাজ। এছাড়া এখানে চোখে পড়বে অন্যান্য স্থাপনাও।
উনিশ শতকের এই ইমারত ঔপনিবেশিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত। প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর বালিয়াটি প্রাসাদ ১৯৮৭ সালে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে।
এরপর থেকে দেশি-বিদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের এই জমিদার বাড়ির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয়। প্রাচীন স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন দেখতে প্রায় প্রতিদিনই এখানে ঘুরতে যান দর্শনার্থীরা।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে জনসেবা বা এসবি লিংক গেটলক পরিবহনে মাত্র দুই ঘণ্টায় সাটুরিয়া পৌঁছে যাওয়া যায়। বাস ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৭৫ টাকা। সাটুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে মাত্র ৩০ টাকা রিকশা ভাড়ায় চলে যেতে পারবেন বালিয়াটি জাদুঘর।
undefined
কখন খোলা থাকে?
বালিয়াটি জাদুঘরে প্রবেশের জন্য জনপ্রতি টিকিটের হার দেশি দর্শনার্থীদের জন্য ২০ টাকা এবং বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য দুইশ’ টাকা।
জাদুঘরটি রোববার পূর্ণদিবস এবং সোমবার অর্ধদিবস বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন খোলা থাকে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৬
টিআই/এমএ