ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

গ্রীষ্মের দার্জিলিং-১০

দার্জিলিং কাঁপাচ্ছে বাংলার বাঘ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৬
দার্জিলিং কাঁপাচ্ছে বাংলার বাঘ ছবি: শামীম হোসেন ও হুসাইন আজাদ

[পূর্বপ্রকাশের পর]

দার্জিলিং ঘুরে: তেনজিং রক থেকে নেমে টুকটাক গহনা কিনে রওয়ানা হলাম পদ্মজা নাইড়ু হিমালয়ান মাউন্টেইন জুয়োলজিক্যাল পার্কে। হিমালয়ান মাউন্টেইনিং ইন্সটিটিউটটিও এখানে।

ঢালু রাস্তা বেয়ে পাহাড়ের শরীরজুড়ে চিড়িয়াখানা। পরিবেশ ও প্রকৃতিবান্ধব। পরিবেশ ও প্রকৃতিবান্ধব।

খুব বড় নয় চিড়িয়াখানাটি। মূলত হিমালয়ান অঞ্চলের প্রাণীগুলোকেই রাখা হয়েছে এখানে। পাহাড়ি পরিবেশ মোটামুটি ঠিক রেখে সাজানো হয়েছে চিড়িয়াখানাটি।

এ চিড়িয়াখানার বিশেষ আকর্ষণ হিমালয়ের রেড পান্ডা। তবে কালো চিতা, স্নো-লেপার্ড, নেকড়ে, ইয়াকসহ বিভিন্ন প্রাণী পাখির ভিড়ে পুরো চিড়িয়াখানা মাতিয়ে রেখেছে সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। বিক্রমশালী বাংলার বাঘ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তার পুরো এলাকা।

শুধু তাই নয়, দর্শনার্থীদের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু সে-ই। ছবি ও সেলফি তোলায়ও সেই প্রথম।

রয়েল বেঙ্গল টাইগারের খাঁচাটিও সবচেয়ে বড়। একটু উঁচুতে। বেশ কিছু বড় গাছ আছে তার এলাকার মধ্যে। মাঝে মধ্যে হুঙ্কার ছেড়ে লোক জড়ো করার ওস্তাদ বাঘটি। খাঁচার একেবারে কাছে এসে দর্শনার্থীদের কীভাবে ‍আনন্দ দিতে হয় সে পদ্ধতি বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করেছে মনে হলো বাংলার বাঘ!

এ চিড়িয়াখানার মূল আকর্ষণ রেড পান্ডা বেশ লাজুক। দেখা পাওয়া কঠিন। থাকে গাছের উপর ছোট্ট একটি ঘরে। মানুষজন বেশি পছন্দ না তার। অনেক কষ্টে একটু দেখা গেলেও ছবি তোলা গেলো না। পুরো চিড়িয়াখানাটি উপর থেকে নিচ, নিচ থেকে উপরে উঠে গেছে পাহাড়ে ঢাল বেয়ে। বেশ পরিচ্ছন্ন।

প্রাণীদের খাঁচাগুলো হয় পাহাড়ের খাদে নয়তো উপরে। নিচে জায়গা পেয়েছে মূলত নেকড়ে, কালো চিতা, চিতা, ইয়াক, কয়েক প্রজাতির হরিণ- এসব প্রাণী। সাপ, পাখি, হনুমান, বানরজাতীয় প্রাণীগুলো উপরের দিকে।

এখানে সুযোগ আছে নেপালি পোশাক পরে ছবি তোলার। চিড়িয়াখানা ঘোরার আগে সঙ্গে যথেষ্ট পানি রাখবেন। কারণ উঁচু নিচু পাহাড় বাইতে বাইতে তেষ্টা পাবে কিছুক্ষণ পর পর।

সময়ের ‍অভাবে দেখার সুযোগ হয়নি মিউজিয়ামটি। বের হওয়ার পথে বিভিন্ন শীতের কাপড় ও মসলা পাবেন রাস্তার পাশে। এখানে দার্জিলিংয়ের কাপড়ের পাশাপাশি পাবেন নেপাল ও ভুটানেরর শীতের চাদর। দরদাম করে কিনতে পারলে বেশ কমেই কেনা যায় এখান থেকে।

তবে চলার পথে সবখানেই পাবেন শীতের পোশাক। সুযোগ বুঝে দেখেশুনে দরদাম করে কিনতে ভুলবেন না। ঘুম মনেস্ট্রি গিয়ে অবশ্য বেশি সময় কাটাইনি। কারণ সব মনেস্ট্রিই প্রায় একইরকম মনে হয়েছে। ওহ্, চিড়িয়াখানা যাওয়ার পথে বিখ্যাত সেন্ট জোসেফ আর জেভিয়ার্স স্কুল, কলেজ দেখতে ভুলবেন না যেন! শাহরুখের মে হু না সহ বহু সিনেমার শুটিং হয়েছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

চলবে...

আরও পড়ুন..

** এখনও অভিযাত্রী পা ‍ছুঁতে চায় তেনজিং রক

**দার্জিলিংয়ে হোটেল বিপত্তি, অতঃপর...
**শুটিংয়ের চা বাগান, আকাশছোঁয়া পাইনের লামাহাটা
** পাহাড় থেকে পাহাড় দেখার দেলো-কালিম্পং-দুরপিনদাড়া
**পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরতম গ্রাম রিশপে
** মেঘে ভিজে লোলেগাঁও ক্যানোপিতে
** গরুবাথানের পাথুরে স্বচ্ছ পাহাড়ি ধারায়
** ফুলবাড়ি হয়ে দার্জিলিং, হ্যাপা কম নয় ২৫ রুপির ঘোষণায়
** ৭ হাজার ফুট উচ্চতার লাভা শহরে

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৬

এএ

 

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।