দু’ দ্বীপেরই চারদিকে জলরাশি। মুক্তারিয়া ঘাট থেকে নিঝুম দ্বীপ যাওয়ার জন্য একটি মাত্র খেয়াঘাট।
ট্রলারের মাঝি তার ইঞ্জিন চালু করলেন। সুইচ চাপতেই ইঞ্জিন চালু হওয়ার ট্রলার নয়। ট্রলারের ইঞ্জিনে হাতলটি ঠিকমতো সেট করে ৮-১০ বার ঘোরানো লাগলো সবেগে, তারপর ইঞ্জনটি চালু হলো। ইঞ্জিনের পাওয়ার কন্ট্রোলারের সঙ্গে বাধা সুতোটি নিয়ে চালক অসংখ্য যাত্রীর মাঝে কোথায় যেনো হারিয়ে গেলেন। পরে বোঝা গেল, তিনি পেছনে দাঁড়িয়ে বৈঠা নিয়ন্ত্রণ ও সুতা টেনে ট্রলারের ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ কাজে তার কোনো সহযোগী নেই। শুধু ভাড়া ওঠানোর জন্য একজন আছেন। যাত্রা শেষে ট্রলার ভিড়লো নিঝুম দ্বীপে। পেছন ফিরে তাকালাম- বঙ্গোপসাগর; আর সামনে- সবুজে মোড়ানো অনিন্দ্য সুন্দর নিঝুম দ্বীপ। বাঁশের সিঁড়ির পথ বেয়ে ঘাটে পা পড়লো। ঘাটেই কয়েকটি মুদি দোকান ও চা স্টল।
হাতে সময় কম। তাই আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি মোটরসাইকেলে চেপে বসতে হলো। হাতিয়ার মতোই সোজা একটি সড়ক নিঝুম দ্বীপের মাঝখান দিয়ে চলে গেছে শেষপ্রান্তে। এটিই নিঝুম দ্বীপের প্রধান সড়ক। দুই পাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে লোকালয়। রাস্তা ধরেই এগিয়ে চলা নিঝুম দ্বীপের রূপ উপভোগে। পথ যতো যাই, মনে হয় নিঝুম দ্বীপে যেন প্রকৃতির উপহার এ সবুজ শ্যামলিমার দেশে। শহরের সংসর্গ ছেড়ে এমনকি হাতিয়া থেকেও নিজেকে আলাদা করে রাখা দ্বীপটি যেন এ কারণেই আলাতা হয়ে আছে। ধীরে ধীরে নিঝুম দ্বীপের গভীর থেকে আরও গভীরে যেতে থাকলো মোটরসাইকেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এইচএ/
আরও পড়ুন
** ডাকে নিঝুম দ্বীপ, ভেঙচি কাটে অবহেলিত সড়ক
** হাতিয়া যাওয়ার পথে একটি সকাল
** হাতিয়ায় যাওয়া সহজ, আসা কঠিন