ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

বেড়িয়ে আসুন বাঘমারা ব্রিজে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৭
বেড়িয়ে আসুন বাঘমারা ব্রিজে বাঘমারা ব্রিজ। ছবি: ছোটন সাহা

ভোলা: দ্বীপ জেলা ভোলার স্বপ্নের সেতু ‘বাঘমারা’ ব্রিজে দিনে দিনে জমে উঠছে ভ্রমণপিপাসুদের মিলন মেলা। পহেলা বৈশাখ, ঈদ এবং বিশেষ বিশেষ দিন ও উৎসব ছাড়াও ছুটির দিনে সেখানে শত শত মানুষের ঢল নামে। ব্রিজের ও প্রকৃতির নির্মল সৌন্দয্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের। দূর থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসেন।

ব্রিজে চারপাশে সবুজের সমারোহ। বাহারি গাছগাছালি আর তেতুলিয়া নদীর উত্তাল ঢেউ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।

ব্রিজের নিচের অংশেও খোলা স্থানে প্রকৃতি উপভোগ করা যায়। এছাড়া নৌকায় এপাড়-ওপাড় ঘুরে বেড়ানো যায়।

বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিনোদন প্রিয় মানুষের ভিড় লক্ষ করা যায়, তবে শুক্রবার ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড় বেশী থাকে। নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী ভিড় জমায়। তবে পর্যটকদের জন্য টয়লেট না থাকায় কিছুটা হলেও ভোগান্তি পোহাতে হয়। ব্রিজটি এক নজর দেখার জন্য জেলা শহরের বাইরের উপজেলা থেকে ছুটে আসেন ভ্রমণপ্রিয় মানুষ।

বাঘমারা ব্রিজ থেকে দেখা সূর্যাস্ত।  ছবি: ছোটন সাহা ঘুরতে আসা পর্যটকরা বলেন, ব্রিজের চারিদিকে সবুজের সমারোহ, এ সবুজ মুগ্ধ করে। নির্মল বাতাস মন কাড়ে। তবে বেশী আকর্ষণ সূর্যাস্তে।

ব্রিজে বসে কেউ আড্ডা, কেউ ঘুরে বেড়ানো, কেউবা গান গাওয়া আর সেলফি তুলে সময় কাটান। কেউ আবার নৌকাতে ঘুরে বেড়ান। পর্যটকদের জন্য স্থায়ী-অস্থায়ী খাবারের দোকান রয়েছে। তবে মজাদার ঝালমুড়ি, ফুসকা ও চটপটির কদর বেশি।

বাঘমারা ব্রিজ।  ছবি: ছোটন সাহা এলজিইডির অর্থায়নে ৪৪০ মিটার দৈঘ্য এবং ৮.৪ মিটার প্রস্থের ব্রিজটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকা। তেঁতুলিয়া শাখা নদীর উপর নির্মিত বিশাল এ সেতুকে ঘিরে ভোলার বিভিন্ন উপজেলা এবং পটুয়াখালীর সাথে সংযোগ স্থাপন হয়েছে। চলতি বছরের ৬ আগস্ট ব্রিজটি উদ্বোধন হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।