মঙ্গলবার (০৯ জানুয়ারি) স্পিডি ট্রেনে সাংহাই ছেড়ে দক্ষিণ চীনের দিকে। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা ফ্লাইওভার আর অজস্র ভবন দেখে ট্রেন চলছে পূর্বচীন থেকে দক্ষিণপূর্ব চীনে।
গতির শহরে ভাসিয়ে চলা বুলেট ট্রেনে উঠেছি কয়েকবার। ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটারে ভাসিয়ে হাইস্পিডের ট্রেনগুলো পৌঁছে দিয়েছে কয়েকশ মাইলের পর মাইল। পাহাড়ের একদিকে ঢুকিয়ে বের করেছে অন্যদিকে।
সাংহাই সিটি স্টেশনের আধুনিকতা আর চাকচিক্যময়তা যতটা দেখেছি তার চেয়ে বহুগুণে গতিময়তার শহর সাংহাই ঘুরে দেখা মনে হচ্ছে বাকি থেকে গেলো। তিন-চারতলা ফ্লাইওভার ৮ থেকে ১০ লেনের সড়কপথ দেখে আঁচ করে নিতে হলো কতটা স্পিডি সিটি সাংহাই।
গতি শুধু কি ট্রেনে আর সড়কে! ভার্চুয়্যাল গতিতেও দুরন্ত চীনের বাণিজ্যিক রাজধানী সাংহাই। প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট গতির ইন্টারনেট গতির শহর এখন চীন। ৫ জি ইন্টারনেট স্পিড ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
আর সাংহাইয়ের আকাশছোঁয়া ভবনগুলো যে শুধু মূল শহরে তা নয়। এটা বিস্তৃত হয়েছে পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণেও। প্রায় ১০০ কিলোমিটার সাংহাই ছেড়ে আসার পরও দেখা যাচ্ছে উঁচু উঁচু ভবন। এখনও ভবন উঠছে বিস্তৃর্ণ সমতল ভূমিতে।
পেছনে পাহাড় সামনে নদী রেখে সাংহাই বসতি বাড়াচ্ছে। এরই মধ্যে সাংহাইয়ের খ্যাতি আছে বিশ্বের অন্যতম জনবহুল সিটি হিসেবে। যে যে ১০টি সিটিতে মানুষ বেড়াতে যায় সাংহাই তার একটি। একের পর এক আকাশ ছোঁয়া ভবন দিয়ে খ্যাতির শিখরে শহরটি। চীনসহ বিশ্ব অর্থনীতির হাব হিসেবে অত্যাধুনিক সাংহাই পরিচিত হয়ে উঠেছে।
সাংহাইয়ের অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ইস্ট-টুডে তাদের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, উদ্ভাবন আর উন্নয়নে ‘বেস্ট প্র্যাকটিস অ্যাওয়ার্ড’ সাংহাই ভিত্তিক একের পর এক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান।
স্পিডি ট্রেনে সাংহাই ছাড়িয়ে এবার দক্ষিণে অগ্রসর হচ্ছি। বেশ কয়েকটি পাহাড়ের বুকের ভেতরে দিয়ে মুহূর্তে ঢুকে বেরিয়ে নামলাম ওয়েংজু প্রদেশের নিগবো স্টেশনে।
পেছনে ফেলে আসা আলো ঝলমলে সাংহাই দেখা বাকি থাকলো আরও।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৮
এসএ/এসএইচ