খারিফে সড়ক এতই বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে যে দিনের বেলায় লাইট জ্বালিয়েও গাড়ি চালানো খুব দুরূহ। পাহাড়ি পথ মাড়িয়ে সমতলে পৌঁছে সবুজ পরিপাটি শহরটি দেখে মনে মনে আফসোস হবে 'ইশ আমাদের দেশটিও এমন সবুজে ঘেরা, অথচ যদি এখানের মতো শৃঙ্খলিত হতো!
শহরে পর্যটকদের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত হোটেল ব্যবস্থা।
স্বচক্ষে দেখবেন, আইয়ুব নবী সারা শরীর পঁচে যাওয়ার মতো দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে কোথায় বসবাস করেছিলেন। পাহাড়ের পাদদেশে যে পানির ফুসকনিটিতে গোসল করতেন, সেটিও দেখতে পাবেন সেখানে
একসঙ্গে কবরে জেয়ারত ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য অবলোকন করা যাবে এখানে এসে। সালালাহ সিটির ভেতর ইমরান নবী (আ:) এর ২’শ ফুট লম্বা কবরটি দেখে অনুমান হয়ে যাবে পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্নে মানুষ কতো লম্বা ছিল।
শহর থেকে সামান্য বের হলে সাগর পাড়ে রয়েছে ইউনুস নবীকে মাছে বমি করে দেওয়ার স্থানটি। এছাড়া রয়েছে একাধিক সাহাবীর কবর, ইসলামের বহু নিদর্শনের স্থান।
এবার শহর ছেড়ে বের হয়ে ৬০ কি.মিটার পথ অতিক্রম করে ছুঁটে যান ওয়াদি দারভেত। যেখানে সবুজ পাহাড়ের দু'পাশ মনে করিয়ে দেবে রাঙামাটি কিংবা বান্দরবানের কথা। সবুজ পাহাড়ের ভেতরে গিয়ে দেখা মেলে অপরূপ জলরাশি। পাহাড় থেকে নিচে বেয়ে পরার দৃশ্যগুলো আপনার দৃষ্টি আগলে রাখবে।
তার ১ কি.মিটার পর দেখা যাবে লেকের বাহারি সৌন্দর্য। পর্যটকরা ভিড় করেছে যেখানে। তার আশপাশের দৃশ্যগুলো এতই পরিপাটি মনে হবে কোন ইউরোপ মহাদেশের দেশে রয়েছেন আপনি।
ওয়াদি দরবাত দেখা শেষে তার ২৫ কি.মিটার পরে মিরবাত-তাকাহ রোডে রয়েছে অটোমেটিক গাড়ি চলাচলের সড়ক। যাকে ম্যাগনেট রোড বলা হয়। উপরগামী সড়কে গিয়ার ছাড়া চলে গাড়ি!
সালালাহ ভ্রমনে গিয়ে মুগশাল বিচ না দেখলে সালালাহ ভ্রমন অপরিপূর্ণ থেকে যাবে। এটিও শহর থেকে ৪৭ কি.মিটার দূরে। সাগরের ঢেউ এর গতির পরিমান যে কি রকম হতে পারে তা দেখা যাবে এখানে। পাহাড় যে কতো রঙ এর, কতো ঢং এর তারও দেখা মিলবে এ বিচে আসলে।
হাতে যদি সময় থাকে, ওই সড়ক ধরে যেতে পারেন ওমান- ইয়ামেন বর্ডার ডালকুট। ডালকুটে দেখার মতো তেমন কিছু নেই, তবে এখানের সৌন্দর্য যাত্রাপথের আকাঁবাকা ১৪৫ কি.মি পথ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৮
এমআর/টিসি