রেঁস্তোরাটির চারপাশে বাঁশ, বেত, ছন, পাহাড়ি লতাপাতা, চেনা-অচেনা বুনোফুলে ভরা। ভেতরটাতেও সব প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি শিল্পকর্ম।
বাহারি সব খাবারের পসরা সাজিয়ে রাখা এই রেঁস্তোরায় নিত্য নতুন খাবারের স্বাদ পেতে চাইলে ঘুরে আসুন শহর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে। বন্য এ রেঁস্তোরায় গেলেই দেখা মেলে পাহাড়ি পরিবেশ ও ঐতিহ্য সম্বলিত নানান কারুকাজ।
কক্সাবাজার থেকে বেড়াতে আসা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা মেশকাত সাদেক বাংলানিউজকে জানান, পাহাড়ের নানান সৌন্দর্য তুলে এনেছে এ রেঁস্তোরায়। নিরিবিলি ও প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে দারুন সময় কাটে এখানে। বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে একটু সময় কাটাতে আসলে মনটাই ভালো হয়ে যাবে। খাবারের দাম একটু চড়া হলেও এখানে মুখরোচক অনেক ভিন্ন খাবারের স্বাদ পাওয়া যায়।
বান্দরবানের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গ্রাউসের মার্কেট ডেভেলপমেন্ট অফিসার ক্য হ্লা থান বলেন, ছুটির দিনে পরিবার নিয়ে ঘুরতে এলাম, মনোরম ও নির্জন পরিবেশ। শহরের ভেতরে ছোট বাচ্চাদের বিনোদন কিংবা বেড়ানোর জায়গা নেই। তাই শহরের একটু দূরে এ রেঁস্তোরায় এসেছি বেশ ভালো লাগছে।
ওয়াইল্ড ক্যাফের ব্যবস্থাপক আলেক রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘স্থানীয় পাহাড়ি খাবারসহ দেশি-বিদেশি খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে এ রেস্তোরায়। অল্প সময়ে পর্যটকসহ স্থানীয়দের বেশ সাড়া পেয়েছি আমরা। প্রতিদিনই এখানে আশানুরূপ পর্যটক আসেন। তবে বন্ধের দিনে একটু চাপ থাকে। ভবিষ্যতে আরও নিত্যনতুন খাবার আমরা পর্যটকদের উপহার দিতে পারবো’।
খুব শিগগিরই রিসোর্ট চালু করতে যাচ্ছেন জানিয়ে জানান ম্যানেজার বলেন, ওই রিসোর্টটিও প্রাকৃতিক পরিবেশ বজায় রেখে গড়ে তোলা হচ্ছে। পর্যটকদের পরিপূর্ণ সেবা নিশ্চিত করা ও চাহিদা পূরণই মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৮
জিপি