বেঙ্গালুরুরের জসনপুর রেলস্টেশন থেকে হাওড়া রেলস্টেশন পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার দূরত্ব। এ পথেই অনেক উঁচু আর দীর্ঘতম পাহাড় দেখা যায়।
রেলপথে উভয়পাশেই সবুজ প্রকৃতি। বাহারি প্রজাতির গাছ আর ছোট বড় বসতি দেখা যায়। যেন সবুজের বুকে আরেক সবুজ। বিকেল, সন্ধ্যা এবং খুব ভোরে এসব পাড়ারের সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে যায়। কারণ ভোরে সূর্যের আলো পাহাড়গুলোতে ভিন্ন এক রূপ দেয়। সন্ধ্যায় পুরো আকাশ যখন লালিমায় ভরে উঠে তখনও যেন আরেক দৃশ্যের দেখা মেলে।
বিকেলে নির্মল বাতাসে সবুজের বুকে মিশে থাকা পাহাড়ের দৃশ্য অন্যরকম অনুভূতি সৃষ্টি করে। ট্রেনে বসে যাত্রীরা পাহাড় দেখার পাশাপাশি ক্যামেরাবন্দি করেন।
রেলপথের উভয়পাশে শতাধিক পাহাড় রয়েছে। পাহাড়ের আশপাশে বসতি গড়ে উঠেছে। কোথাও নিচু ঘর, কোথাও উঁচু ঘর। তবে বেশিরভাগ ঘরগুলোতে দৈর্ঘ্য-প্রস্থ ছোট।
ট্রেনে বসেই দেখা যায় বিস্তীর্ণ ফসলের ক্ষেত। রয়েছে তাল ও খেজুরগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরাজি। কোথাও আবার খোলা মাঠ। দেখতে অনেকটা মরুভূমির মতো। তাপমাত্রা একটু বেশি থাকায় সেখানকার তালগাছ নিজের রং হারিয়ে বিবর্ণ রং ধারণ করেছে। তবে খেজুরগাছ বেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
একেকটি পাহাড় থেকে অন্য একটি পাহাড়ের দূরত্ব বেশ। মাঝে মধ্যে দেখা একটি পাহাড় অন্য একটি পাহাড়কে ছুঁয়েছে। দর্শনার্থীদের যেন কাছে টানে। নজরকাড়া দৃষ্টিনন্দন এসব পাহাড় একদিকে যেমন সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে অন্যদিকে ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এএটি