কুয়াকাটার ঐতিহ্যবাহী কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, আড়াই শতবর্ষী নৌকা, ইলিশ পার্ক, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান, ঝাউ বন, লেম্বুর চর, চর গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ, ফাতরার বন, এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন পল্লীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানেও বাড়ছে পর্যটকদের আনাগোনা। সৈকতে প্রিয়জনদের সঙ্গে পর্যটকের অবিরাম ছুটোছুটি, বালিয়াড়িতে পাতা বেঞ্চে বসে ঢেউয়ের গর্জন শোনা ও গা ভাসিয়ে সমুদ্রে গোসল দেখলে মনে হয় এ যেন সমুদ্রের সঙ্গে পর্যটকদের গভীর এক মিতালী।
কখনো মেঘ, কখনো বৃষ্টি। এরই মাঝে সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত দেখা, লাল কাকড়ার অবিরাম ছুটোছুটি, বালুকা বেলায় প্রিয়জনের সঙ্গে হাঁটাহাঁটি, আর সমুদ্রের মোহনীয় গর্জন শুনতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে কুয়াকাটায় ছুটে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার নানা বয়সের হাজারো মানুষ।
এদিকে বর্ষা মৌসুমে পর্যটকদের ভিড়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ফিরে পেয়েছে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্যতা। আর পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, জেলা পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
নরসিংদী থেকে ঘুরতে আসা সেলিম-রেহানা দম্পতি জানান, কুয়াকাটা আসলে দেখার মতো স্থান। তবে তুলনামূলক হোটেল ভাড়া একটু বেশি। নারায়ণগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রবিউল ইসলাম জানান, বৈরি আবহওয়া উপেক্ষা করে আমরা কুয়াকাটায় এসেছি। কুয়াকাটার পরিবেশটা খুবই ভালো। তবে খাবারের মান একটু খারাপ, দামেও একটু বেশি।
কুয়াকাটা হোটলে-মোটেল মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মিলন ভূঁইয়া জানান, বৃষ্টির কারণে ঈদের প্রথম দিকে পর্যটকদের সংখ্যা একটু কম ছিল। তবে এখন হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে পর্যাপ্ত বুকিং রয়েছে। এছাড়া ঘুরতে আসা পর্যটকদের জন্য সব আয়োজনে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের পরিদর্শক খলিলুর রহমান জানান, সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এইচএডি/