আর চাপমুক্ত হওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে ভ্রমণ। শহুরে বিষণ্নতা কাটানোর জন্য ঘুরে আসতে পারেন প্রকৃতির কাছাকাছি।
গবেষকদের মতে, ভ্রমণ স্বাস্থ্যের উপকারী দাওয়াই। ব্যস্ততা থেকে একটু অবসর নিয়ে ঘুরে এলে কমবে মানসিক অবসাদ। এমনকী নিয়মিত ভ্রমণ হৃদরোগসহ অন্য শারীরিক ও মানসিক রোগের ঝুঁকি কমায়।
এছাড়া, নতুন কোনো জায়গা ঘুরে এলে পাবেন ওই এলাকার নিজস্ব ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, জীবনযাপন ও খাবারের স্বাদ।
নতুন কোনো জায়গায় ভ্রমণে গেলে নাগরিক সব ঝুট-ঝামেলা থেকে দূরে থাকা যায়। সব নেগেটিভিটি দূর হয়ে জীবনে আসে পজিটিভিটি। পাশাপাশি নতুন অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়।
তাই ব্যস্ত জীবনে হাঁপিয়ে উঠলে একটু সময় বের করে কোথাও ঘুরে এসে নতুন উদ্দীপনা নিয়ে শুরু করতে পারেন কর্মজীবন।
অনেকের কাছে ভ্রমণ শুধু একটা শখ। অনেকের এটাই পেশা। সত্যি বলতে, মানুষের জন্মই হয়েছে সারাবিশ্ব ঘুরে নতুন কিছু জানার জন্য।
যারা ভ্রমণ করেন তাদের মন অনেক উদার হয়। ফলে, জীবনের অনেক জটিল সমস্যা তারা সহজ করে দেখতে পারেন।
কেউ যদি এক জায়গায় ‘কুয়ার ব্যাঙ’ হয়ে জীবন কাটায়, এই বিশাল পৃথিবীর অনেক কিছুই তার অজানা থেকে যায়। অন্যদিকে, কাজের চাপ ও নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার সব নেগেটিভিটি তার জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এতে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রোগের সৃষ্টি হতে পারে। তাই প্রতিটি মানুষের জন্যই ভ্রমণ গুরুত্বপূর্ণ।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও সবারই নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করতে হয়। সব ভিড় থেকে দূরে মুক্ত জীবনের স্বাদ নিতে ও জীবনের মানে খুঁজতে বের হতে হয় ভ্রমণে।
যদি আপনি নতুন কোনো জাতির জীবনযাপন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ইতিহাস, এসবে আগ্রহী হন, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন নতুন কোনো দেশে। যদি প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চান অ্যাডভেঞ্চারে, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন হিমালয় পর্বত, উপভোগ করতে পারেন হিমালয়ের সৌন্দর্য। আপনি কী ধরনের ভ্রমণে আগ্রহী তার ওপর নির্ভর করে আপনার কোথায় ঘুরতে যাওয়া উচিত।
তবে গন্তব্য যেটাই হোক না কেনো, ভ্রমণ জরুরি।
তাই শারীরিক ও মানসিক অবসাদ ঝেড়ে সতেজ শরীর ও মন নিয়ে কাজে যোগ দিতে আপনার মনমতো কোথাও ঘুরে আসুন। দেখবেন জীবনটাকে আপনি নতুনভাবে দেখছেন। পাশাপাশি সারাজীবন মনে রাখার মতো স্মৃতি জমা হবে আপনার ঝুলিতে। এমনকী ঘুরতে গিয়ে অচেনা বা ভিনদেশি কারো সঙ্গে বন্ধুত্বও তৈরি হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
এফএম/এএ