জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের পিআর (জনসংযোগ) ম্যানেজার ম্যাক্সিম বাংলানিউজকে জানান, এবার জানুয়ারিতে তুষারপাত বেশি হবে, নিয়মিত হবে।
এসময় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়াতে ভ্রমণে আসা ইশ্বরদী মহিলা কলেজের শিক্ষক স্বপন কুমার কুণ্ডু বাংলানিউজকে জানান, তিনি ২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর কয়েকদিন মস্কো ভ্রমণ করেছেন। তখন রাস্তা ছিল বরফে ঢাকা। এবার এসে দেখেছেন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
৯ ডিসেম্বর মস্কো এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকার প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ভরোনেস এবং নবভরোনেস এলাকায় কোনো তুষারপাত লক্ষ করা যায়নি। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় মস্কো থেকে ভরোনেস যাত্রায় এয়ারপোর্ট থেকে প্লেনে উঠার সময় রানওয়ে ভেজা দেখা যায়। হয়তো সামান্য বৃষ্টি অথবা হালকা তুষার পড়ে থাকতে পারে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব পড়েছে। পরিবর্তন দেখা দিয়েছে প্রকৃতির আচরণে। রাশিয়া নয় পুরো ইউরোপের অবস্থা একই। এর নেতিবাচক প্রভাব স্পর্শ করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও।
এমনটিই বলছিলেন ঢাকার এক গার্মেন্ট এক্সেসরিজ ব্যবসায়ী। গত কয়েক দিন আগে মতিঝিল থেকে প্রেসক্লাব যাওয়ার সময় বাসের মধ্যে শীত নিয়ে কথা হচ্ছিল। তখন ওই ব্যবসায়ী বলেন, এবার ইউরোপে শীত কম। ফলে বাংলাদেশের সোয়েটার সেখানে প্রত্যাশামতো যাচ্ছে না। ইউরোপের দেশগুলো প্রচুর সোয়েটার নেয়। কিন্তু শীত কম হওয়ায় এবার তেমন নিচ্ছে না। প্রচুর তৈরি সোয়েটার পড়ে আছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
এসকে/এইচএডি