ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪০)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২০
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪০) সূর্যোদয়

বাবর আলী। পেশায় একজন ডাক্তার। নেশা ভ্রমণ। তবে শুধু ভ্রমণ করেন না, ভ্রমণ মানে তার কাছে সচেতনতা বৃদ্ধিও। ভালোবাসেন ট্রেকিং, মানুষের সেবা করতে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের এই ডাক্তার হেঁটে ভ্রমণ করেছেন দেশের ৬৪ জেলা। সেটা আবার ৬৪ দিনে। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সেটা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখেছেন বাংলানিউজের ট্রাভেলার্স নোটবুকে। ৬৪ দিনে থাকবে ৬৪ দিনের ভ্রমণ-অভিজ্ঞতা।

দিন ৪০
মুজিবনগর (মেহেরপুর)-জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)= ৪৯.০২ কিমি
আমার গত রাতের আবাসস্থল সূর্যোদয় ডাকবাংলো থেকে মুজিবনগর ০ কিমি লেখা ফলকটা সাকূল্যে পঞ্চাশ ফুট দূরে। কাল সন্ধ্যার ঘনিয়ে আসা আঁধারে ছবি তোলার ঝামেলায় না গেলেও ভোরে হাঁটা শুরুর সময়ে সেটা মিস গেলো না।

মুজিবনগর কমপ্লেক্সের গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে পিকনিকের বাস। আশপাশের এলাকার ছেলেরা বাস ভাড়া করে কোথাও যাচ্ছে।

মুজিবনগর ০ কিমিদুপুরের খাবার রান্নার জন্য ডেকচি-পাতিলের সঙ্গে সঙ্গে বাসে উঠলো ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের প্লেট আর কাপ। হালকা ঠাণ্ডা পড়েছে আজ। লাল পাতলা উইন্ডব্রেকারটা গায়ে চাপিয়ে হাঁটছি। কেদারগঞ্জে না গিয়ে বল্লভপুর মোড় দিয়ে একটা শর্টকাট ধরে দর্শনা অভিমুখী রাস্তায়। এ রাস্তায় খানিকটা বিপত্তিতে পড়লাম। রাস্তা পিচ করার আগে যে আলকাতরা দেওয়া হয়, ইটের খোয়ার উপর খুব সম্ভবত সেটা ঢালা হয়েছে গতকাল সন্ধ্যায়। এই সকালবেলা হাঁটতে গিয়ে সেটাই স্যান্ডেলের তলায় লেগে যাচ্ছিল।

মূল রাস্তায় উঠেই সুন্দর একটা খ্রিস্টান কবরস্থান। এই এলাকায় অনেকগুলো চার্চ। বাগোয়ান থেকে রতনপুর পর্যন্ত কিছু রাস্তা গতকালের সঙ্গে মিলে গেলো। চুয়াডাঙ্গায় প্রবেশ করলাম ঢোলমারী পার হতেই। সকাল পৌনে আটটা নাগাদ পৌঁছে গেলাম আটকবর কমপ্লেক্সে। এত সকালে এখনো খোলেনি কমপ্লেক্সের ফটক। বাইরে থেকেই দেখে সাধ মেটাতে হলো। মুজিবনগরের এত কাছে হলেও এই জায়গাটা সম্পর্কে লোকে খুব একটা ওয়াকিবহাল নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ হওয়া ৮ মুক্তিযোদ্ধার গণকবর আছে এখানে।

আটকবর

পরবর্তীকালে এখানেই গড়ে তোলা হয়েছে একটা কমপ্লেক্স। গোচিয়ার মোড় হয়ে শিবনগরে ডিসি ইকোপার্ক পড়লো পথে। এই ইকোপার্কের পাশেই স মিল। কাটা হচ্ছে প্রকাণ্ড সব গাছ। অনেক ইক্ষুক্ষেত চারপাশে। সঙ্গে সদ্য লাগানো ভুট্টা গাছ। আর অল্প হাঁটতেই চন্দ্রবাস বাজার।  

এদিকের টং দোকানগুলো বেশ বড়-সড়। চট্টগ্রামের অনেক নামিদামি রেস্টুরেন্টই এসব টং দোকানের সাইজের কাছে একেবারে নস্যি। দেশের আর কোথাও কুষ্ঠরোগ সম্পর্কিত এত সাইনবোর্ড দেখিনি। হতে পারে এই অঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। খুব একটা ব্যস্ত নয় এই সড়কটি। ছইওয়ালা ভ্যান, মোটরসাইকেল আর মাঝে-সাঝে একটা-দুটো ট্রাক। রাস্তার হাল দেখে বোঝা যায় নিয়মিত মেরামত করা হয়।  

কার্পাসডাঙ্গা ক্যাথলিক চার্চ ছাড়াতেই কবি নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত আটচালা ঘর। কবি ১৯২৬ সালে এই ঘরে অবস্থান করেছিলেন দুই মাস৷ জেলা প্রশাসন বাড়ির সামনে সাইনবোর্ড লাগালেও বাড়ির অধিবাসীরা সর্বসাধারণের বাড়ির আঙিনায় প্রবেশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ব্যানার লাগিয়েছে। কার্পাসডাঙ্গার কবরস্থানটাও বেশ দেখার মতো। এত গাছে ঘেরা কবরস্থান সহজে চোখে পড়ে না। সেগুন গাছ আর শিশু গাছের ঠাস বুনুনি। দুই গাছের মাঝে মাঝে শেষ শয্যায় শায়িত মানব সন্তানেরা।  

আরামডাঙ্গা পার হয়ে ইন্দ্রার মোড় থেকে বামে যেতেই বিশাল মৎস্য আড়ৎ। মাছের সাইজ দেখে আমারই চক্ষু চড়ক গাছ। খানিক এগিয়েই ভূমিহীন পাড়া। রঘুনাথপুরের রাস্তা ধরলাম এখান থেকেই। দিগন্ত বিস্তৃত বিশাল ভুট্টা ক্ষেত। আর মাঝে মধ্যে সবুজের মাঝে উঁকি দিচ্ছে হলুদ টোপর পরা সরিষা গাছ। হাঁটতে হাঁটতেই এক লোক জিজ্ঞেস করলো আমি জমি সার্ভে করতে এসেছি কিনা। ক্ষেতের ফাঁকে ফাঁকে কিছু গুচ্ছগ্রামে বসতি। সিংহভাগই মাটির বাড়ি। কিছুদূর যেতেই আরেক লোক জিজ্ঞেস করলো 'ভাই, কি কোম্পানি?' এইদিকে সবাই আমাকে কোন ভুট্টা কোম্পানীর লোক ভাবছে। বুঝতে পারলাম ভুট্টা চাষ এখানে বেশ লাভজনক। সুবলপুর ব্রিজ মোড় অতিক্রম করতেই মাথাভাঙ্গা নদী। সেতুর বামদিকে মাথাভাঙ্গা আর ভৈরব নদীর সঙ্গমস্থল। রঘুনাথপুর বাজারটা সেতুর ওপাশেই।

লোকনাথপুরের কাছেই আমাকে দেখে বাইক থেকে নেমে পড়লেন নাসিদ ভাই। এটা-সেটা নিয়ে গল্প শুরু করতেই পেছন থেকে ডাক। লোকনাথপুর বাসস্ট্যান্ডেই অপেক্ষা করছিলেন মাসুদ ভাই আর তার ছোট ভাইয়েরা। সবাই মিলে হাঁটা শুরু করে ঠিক হলো আগে কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে যাবো। দর্শনার নাম শুনলেই সবার মাথায় কেরুর নামই আগে চলে আসে। মূল রাস্তা থেকে ছোট একটা রাস্তায় নামলাম। এ রাস্তাতেই মাসুদ ভাই কেরুর কয়েকজন কর্মচারীর কোটি টাকার বাড়ি দেখালেন। যদিও সেসব কর্মচারীর মাসিক আয় ১২-১৫ হাজার টাকার বেশি না। রাস্তায় দাঁড়িয়েই মাসুদ ভাই চিৎকার করে করে বলছিলেন এটা চোরের বাড়ি, ওটা চোরের পুরাতন বাড়ি, এটা বর্তমান বাড়ি। নাসিদ ভাই আর মাসুদ ভাইয়ের পিছু পিছু ঢুকে পড়লাম কেরু অ্যান্ড কোম্পানিতে। মূল কারখানায় ঢোকার আগেই নাকে এলো স্পিরিটের কড়া গন্ধ।  

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির অভ্যন্তরে

কেরুকে অনেকে শুধু মদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চেনে। যদিও এটি মূলত আখ কল। মদ উৎপাদিত হয় আসলে উপজাত হিসেবে। মূল কারখানা বিল্ডিংয়ে ঢুকেই মনে হলো চার্লি চ্যাপলিন অভিনীত 'মডার্ন টাইমস' মুভির সেটে চলে এসেছি আমি। বিশাল সব চাকা ঘুরছে। হেঁটে চলে দেখার জন্য লোহার তৈরি বিশাল সব সিঁড়ি। ওনারা একে একে দেখালেন মেশিনে আখ ঢোকানো থেকে শুরু করে গুড় এবং পরবর্তী সময়ে চিনি তৈরির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া। অনেকগুলো সিঁড়ি ভেঙে সময় নিয়ে দেখলাম এই বিশাল কাণ্ড।  

আমি চিনি না খেলেও এখানের চিনিটা খানিক চেখে দেখলাম। একেবারে শেষে চিনির গোডাউনে। গোডাউন দেখে মনে হয় বাংলা সিনেমার শেষ দৃশ্য বুঝি এরকম জায়গাতেই হয়। শুধু নীল রঙের ড্রামের অভাব। ওখান থেকে বেরিয়ে মাসুদ ভাইয়ের বাসায়। দুপুরবেলা পরিচিতজনদের সঙ্গে দেখা হলে বাইরেই খাই সম্ভবত। মাসুদ ভাই মানলেন না। ওনার বাসাতেই গেলাম এবং খেলাম। উনার বাসাটা এমন জায়গায় যেখান থেকে কেরু আর স্টেশন দু’টিই বেশ কাছে। সিজনে নাকি কড়া স্পিরিটের গন্ধ ওনার বাসায় বসেই পাওয়া যায়।  

মাসুদ ভাইয়ের রুম দেখে মনে হলো এই জায়গাতে অনায়াসে কদিন থেকে যাওয়া যায়। উনি জোর করতে লাগলেন আজ এখানেই রাত কাটানোর জন্য। আমি জীবননগর যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলেও এইখানে রাত না কাটানোর আফসোসটা রয়ে যাবে। মাসুদ ভাইয়ের গ্যাংটার কথাও মনে থাকবে বেশ। থাকা যখন হবে না, তখন ওদের প্রস্তাব দিলাম আমার সঙ্গে কিছুদূর হাঁটতে। মাসুদ ভাই, ইউসুফ ভাই, সকাল, অনিক আর আমি হাঁটা শুরু করে দর্শনা রেল স্টেশন পেরিয়ে বাসস্ট্যান্ড পৌঁছাতেই ওখান থেকে যোগ দিল নাসিদ ভাই। ওরা কিছুদূর আমাকে এগিয়ে দেবে।

আজকের সঙ্গীরাপুরনো কপোতাক্ষ নদ নামক পুরোপুরি মৃত একটা নদীর সঙ্গে দেখা৷ কিছুদূর যেতেই বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের উপকেন্দ্র। সামনে এগিয়েই কেরুর জৈব সার কারখানা চোখে পড়লো। সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে মনে হলো ছোট শহরের সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো সবাই সবাইকে চেনে। রাস্তার দু’পাশে একরের পর একর জায়গা কেরুর।

একে একে পেরোলাম জীবননগর, মোল্লাবাড়ী। সঙ্গীরা সবাই বিদায় নিল উথলী থেকে। মনোহরপুর, পেয়ারাতলা হয়ে জীবননগর পৌঁছাতে সন্ধ্যা। মুক্তমঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলাম কাজল ভাইয়ের জন্য। চারপাশে বেশিরভাগই মিষ্টির দোকান। সবাই নিজেদের আদি ও অকৃত্রিম আদি বাগাট দধি ও মিষ্টান্ন ভাণ্ডার বলে দাবি করছে। কুমিল্লার মাতৃভাণ্ডারের মতো অবস্থা। খানিক বাদেই কাজল ভাই আসতেই ওনার বাইকে চেপে উপজেলা পরিষদ ডাকবাংলো।  

কাজল ভাই মেহেরপুর সমবায় অফিসে কর্মরত পরিদর্শক হিসেবে। গতকাল মেহেরপুর গিয়ে খানিকটা আফসোসের সুরেই সাবিত্রী মিষ্টি খেতে না পারার কথা বলেছিলাম মাহবুব ভাইকে। কাজল ভাইকে দিয়ে এক প্যাকেট সাবিত্রী মিষ্টি সুদূর মেহেরপুর থেকে আমার জন্য পাঠিয়ে দিয়েছেন মাহবুব ভাই। এই সারপ্রাইজটা পেয়ে বেশ চমকিত হয়েছি। মানুষের এত ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবো কীভাবে কে জানে। ফ্রেশ হয়ে কাজল ভাইয়ের সঙ্গে বেরোলাম। ওনাদের বিশাল এক সার্কেল আছে বাজারেই। সেখানে রান্না হচ্ছে রাজহাঁস। উপলক্ষ্য খালিদ ভাইয়ের উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হওয়া। হাঁসের পা চিবোতে চিবোতে ইন্সপেক্টর ফেরদৌস ভাই আমার পায়ে হেঁটে ভ্রমণের কথা শুনে জিজ্ঞেস করলেন- 'এই ডিজিটাল যুগে এরকম এনালগ শখ জাগলো কেন আপনার?' 

চলবে...

আরও পড়ুন>>

পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৯)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৮)

পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৭)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৬)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৫)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৪)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৩)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩২)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩১)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩০)​
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৯)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৮)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৭)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৬)​
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৫)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৪)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৩)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২২)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২১)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২০)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৯)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৮)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৭)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৬)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৫)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৪)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৩)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১২)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১১)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১০)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৯)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৮)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৭)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৬)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪)
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (দিনাজপুর-৩)
পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা (ঠাকুরগাঁও-২)
পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা (পঞ্চগড়-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২০
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।