ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৭)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২০
পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৭)

বাবর আলী। পেশায় একজন ডাক্তার। নেশা ভ্রমণ। তবে শুধু ভ্রমণ করেন না, ভ্রমণ মানে তার কাছে সচেতনতা বৃদ্ধিও। ভালোবাসেন ট্রেকিং, মানুষের সেবা করতে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের এই ডাক্তার হেঁটে ভ্রমণ করেছেন দেশের ৬৪ জেলা। সেটা আবার ৬৪ দিনে। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সেটা নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখেছেন বাংলানিউজের ট্রাভেলার্স নোটবুকে। ৬৪ দিনে থাকবে ৬৪ দিনের ভ্রমণ-অভিজ্ঞতা।

দিন ৫৭

মোল্লাঘাটা বাজার (দাগনভূঁঞা, ফেনী)-নয় টিলা মাজার (মিরসরাই, চট্টগ্রাম)= ৩৭.২৩ কিমি

জগতের সব মা বোধহয় মায়া-মমতার দিক থেকে এক। শীতের এই ভোরেও আন্টির সৌজন্যে সকালের নাশতা খেয়ে আবার পথে খাবার জন্য নিয়েও বের হতে হলো।

বেরুবার আগে শিহাব দিনের আলোতে ক্যাকটাস দেখাতে নিয়ে গেলো ছাদে। ওর এই নব্য শখ দেখতে ভালোই লাগছিল। ক্যাকটাসের যে এত দাম হতে পারে আমার ধারণাই ছিল না। শিহাবও হাঁটবে বলে নেমে পড়লো পথে।

কিছুটা পথ হাঁটতেই জায়লস্কর। তার পরপরই বিজিবি ক্যাম্প। দাগনভূঁঞা ছাড়িয়ে ফেনী উপজেলা সদরে পা রাখা এখান থেকেই। কিছুটা এগিয়ে তেমুহনি নামক বাজার। এই দেশে তেমুহনি আর চৌমুহনীর কোনো অভাব নেই। দেশের যেই প্রান্তেই থাকি না কেন, এই দুই নাম আছেই। পাঁচগাছিয়া নামক বড় একটা বাজার থেকে ডানে মোড় নিয়ে এগোলাম বিজয় সিংহ দিঘির দিকে। ফেনীর সার্কিট হাউজটা সুবিশাল এই দিঘির পাড়েই অবস্থিত।

শিহাবের ক্যাকটাসের সংগ্রহ।

বাঁধানো সিঁড়িতে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে ওয়াকওয়ে ধরে হাঁটা ধরলাম। উদ্দেশ্য পাড় ঘিরে একটা চক্কর কাটা। এই সকালবেলাতেই পাড়ের কোণার বেঞ্চিগুলো যুগলদের দখলে। হাঁটতে হাঁটতে শিহাব এই দিঘি নিয়ে প্রচলিত মিথগুলো বলছিল। বাংলাদেশের সব দিঘি নিয়ে প্রচলিত মিথগুলো মোটামুটি একই রকম। বিয়ের আগের দিন লিস্ট দিলে বিয়েতে ব্যবহার্য বাসন-পত্র নৌকায় করে ভেসে ওঠার সেই চিরায়ত গল্প।

সার্কিট হাউজের পাশ ঘেঁষে মহিপাল থেকে মহাসড়কে উঠার পর বিদায় নিল শিহাব। ফেনী শহরে দুটি নাম বেশ কমন। মোল্লা আর মজুমদার। বেশিরভাগ ভবনের নামে এই দুই শব্দের ব্যাপক ব্যবহার। ফেনীর বেশ ক’জন মজুমদার আর মোল্লাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। খানিকটা সামনেই রামপুর। এই জায়গাটা আমার খুব ভালোমতো মনে আছে। বছর তিনেক আগে টেকনাফ-তেঁতুলিয়া ক্রস কান্ট্রি রাইড শেষে বাসে ফেরার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েছিলাম এখানেই। সাকিবের থুতনি ফেটেছিল সেবার আর আমার ঠোঁট। সঙ্গে ক্ল্যাভিকলে পেয়েছিলাম প্রচণ্ড ব্যথা।

মহাব্যস্ত মহাসড়ক।

এই মহাসড়কে উল্টোদিকে চলে প্রচুর যানবাহন। মিডিয়ান গ্যাপগুলো দিয়ে অন্যপাশে পার না হয়ে উল্টোপথে চলে দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করে ড্রাইভারেরা। আমার মতো হাঁটতে থাকা লোকের এতে বেশ অসুবিধে। একটু এগিয়েই লালপোল পার হয়ে ছিলোনিয়া বাজার। প্রচুর গাড়ির চাপ এই সড়কে। গাড়ির শব্দে কান রীতিমতো ঝালাপালা। প্রচণ্ড গতিতে গাড়ি চলে যাওয়ার পরে বাতাসের ঝাপটার রেশটাও রয়ে যায় পরবর্তী কয়েক সেকেন্ড। পশ্চিম মাইজবাড়ীয়ার কাছে নির্মাণাধীন ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ পড়লো। অল্প সামনেই লেমুয়া সেতু। এর নিচের নদীটার নাম কালিদাস পাহালিয়া। নামটা বড্ড অদ্ভুত ঠেকলো। রাস্তার ডিভাইডারে হরেক রকমের ফুল। কয়েকটা গাছ রীতিমতো ঝাঁকালো মাথা নিয়ে বেশ বড়-সড় হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই।

ডিভাইডারে মগ-বালতি নিয়ে এক লোককে পানি দিতে দেখে খানিকটা অবাক হলাম। ভালোমতো ঠাহর করতেই দেখলাম ডিভাইডারে ফুল গাছগুলোর মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে লালশাক লাগিয়েছেন ভদ্রলোক। সেখানেই জল দান করছেন তিনি। নেয়াজপুর পেরিয়ে বোগদাদীয়া বাজার। রোদ উঠে গেলো খাইয়ারা বাজার আসতেই। সকাল থেকে ধরে রাখা আকাশের গুমোট ভাবটা কেটে গেলো নিমেষেই। চাদর বিছিয়ে রাস্তার পাশেই শান্তির ঘুম দিচ্ছে এক লোক। দেখে কি যে লোভটা হলো।

বিজয় সিংহ দিঘি।

একবার মনে হলো গামছাটা বের করে শুয়েই পড়ি! ফাজিলপুরের কাছে মহাসড়কের ডিভাইডারে আরো আরো ক্ষেত দেখলাম। মুহুরী নদী পেরিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির গোরস্থান মতো একটা জায়গা। দুনিয়ার যত সব ভচকানো-দুমড়ানো গাড়ি রাখা আছে এখানে। কত মানুষের জীবন নিয়েছে কিংবা অঙ্গহানির শিকার হয়েছে কত যে মানুষ এসব দুর্ঘটনায় পড়ে।

সদর উপজেলা ছাড়িয়ে ছাগলনাইয়ায় ঢুকে পড়লাম পুরাতন মুহুরীগঞ্জ থেকে। পুরাতন মুহুরীগঞ্জের পরের বাজারের নাম নতুন মুহুরীগঞ্জ। অল্প সামনেই পেলাম সমিতি বাজার। ফেনী নদীর উপরের ধুমঘাট সেতুর অন্যপাশ থেকেই চট্টগ্রাম জেলার শুরু। কতদিন পর পা রাখলাম নিজের জেলায়। কয়েক কদম হেঁটে হাতের বামের ছোট পিচঢালা সড়কটা ধরলাম মহাব্যস্ত হাইওয়ে ছেড়ে।

এই রাস্তাটা এগিয়েছে আজমনগরের ভেতর দিয়ে। বেশ ক'টা বিয়ের গেট পড়লো চলতি পথে। সুন্দর জামা-কাপড় পড়া লোকজন চোখে পড়ছে বিয়েবাড়ির আশপাশে। এর মধ্যে ময়লা জামা-কাপড় পরা আমাকে ঠারে ঠারে দেখছে লোকজন। বরযাত্রী আনা-নেওয়ার জন্য ছোট এই রাস্তায় চলাচল করছে প্রচুর মাইক্রোবাস। এক খেজুর গাছে দেখলাম রসের হাঁড়ির বদলে পলিথিন বসিয়ে রেখেছে। এসব টুকিটাকি ইনোভেটিভ কাজে আমাদের জুড়ি মেলা ভার!

হিঙ্গুলীর কাছাকাছি গিয়ে উঠলাম বড় রাস্তায়। অসংখ্য সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে এই রাস্তায়। গেড়ামারা পেরিয়ে অনেকদিন পর পাহাড় দেখলাম। পাহাড় না বলে অবশ্য ছোট ঢিবি বলাই ভালো। দেখেই চোখের প্রশান্তি। একটু সামনে যেতেই এই পুরো পদযাত্রায় প্রথমবারের মতো কুকুরের রোষানলে পড়লাম। এই প্রাণীটা এমনিতে আমার বেশ পছন্দের। এদের সঙ্গে আমার খাতিরও বেশ দ্রুতই হয়। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে এরা আমাকে সহ্যই করতে পারলো না। ঝেড়ে দৌড় দেবো কিনা সে চিন্তা মাথায় আনতেই এক লোক এদের তাড়িয়ে খানিকটা স্বস্তি দিল। সাইবেনীর খিলে রাস্তার পাশে মাইক্রোফোন নিয়ে বসে মাহফিলের জন্য চাঁদা উঠানো হচ্ছিল। গাড়ি আসলেই পাটের একটা দড়ি দিয়ে হালকা ব্যারিকেডের মতো করে চাঁদা দানে মোটামুটি বাধ্যই করা হচ্ছিল।

পথচারীদেরও রেহাই নেই। এই চিত্র পুরো দেশজুড়েই এক। আমার চেহারায় ভিখারি ভাব প্রবল বলেই কিনা এখনো পর্যন্ত এরা আমার কাছে একবারও হাত পাতেনি। দিনের হাঁটা শেষ করলাম নয় টিলা মাজারে গিয়ে।

মহাসড়কের ডিভাইডারে খেত-খামার!

আজ রাতে থাকবো বারইয়ারহাটে বন্ধু মাহমুদের বাসায়। সে মেডিক্যালে আমার সহপাঠী ছিল। দু’জনের রোল কাছাকাছি হওয়ায় আইটেম তথা ছোট ভাইভা পরীক্ষাগুলোও দেওয়া হতো একসঙ্গে। আমাদের ক’জন বন্ধু-বান্ধবকে সে মেডিক্যালে পড়াকালীন প্রথম বর্ষ-দ্বিতীয় বর্ষে খুব কঠিন প্যারা দিয়েছে। আইটেমের আগেরদিন সন্ধ্যায় আমরা যতক্ষণে সবে পড়তে বসার প্রস্তুতি নিতাম ততক্ষণে সে ফোন করে জানাতো তার একবার পড়া শেষ। এখন সে রিভিশন দিচ্ছে।

পরবর্তী সময়ে আমরা আইটেমের আগেরদিন তার ফোন ধরতাম না। আমাদের হতাশা এতে কিছুটা হলেও কমতো। সিএনজিযোগে বারইয়ারহাট আসতেই মাহমুদ চলে এলো। জোরারগঞ্জে ওর চেম্বারে বসেই হলো পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ। মাহমুদ এখন বেশ ব্যস্ত ডাক্তার এলাকায়। বাসায় এসেই পড়ে গেলাম ওর খালাতো বোনের কৌতূহলী প্রশ্নের মুখে। 'আপনি কি কবি?' - আমাকে খুঁটিয়ে দেখে প্রথম প্রশ্ন এলো। 'আপনি কি বাম রাজনীতি করেন?'- দিয়ে শেষ হলো প্রশ্নের ঝড়। আমি কবি-সাহিত্যিক ও নই, রাজনীতিবিদও নই এটা বোঝাতে বেশ বেগই পেতে হলো। আমি মেডিক্যালে মাহমুদের সহপাঠী বলার পরে উনি জানালেন আমাকে দেখে মোটেও ডাক্তার মনে হয় না।

চলবে...

আরও পড়ুন>>
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৬)
**পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫৩)
**পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৩০)​
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৬)​
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-২০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১১)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-১০)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৯)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৮)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৭)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৬)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৫)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (পর্ব-৪)
** পায়ে পায়ে ৬৪ দিনে ৬৪ জেলা (দিনাজপুর-৩)
** পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা (ঠাকুরগাঁও-২)
** পায়ে পায়ে ৬৪ জেলা (পঞ্চগড়-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২০
এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।