ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাইব্যুনাল

খুলনায় শাহজালালের চোখ উৎপাটন মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
খুলনায় শাহজালালের চোখ উৎপাটন মামলা পুনঃতদন্তের নির্দেশ

খুলনা: খুলনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শাহজালালের দুই চোখ উৎপাটন মামলায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এ দায়িত্ব পেয়েছেন খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের উপ কমিশনার। 

রোববার  (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা মহানগর হাকিম মো. শাহীদুল ইসলাম বাদীর নারাজি পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।  

এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি পিটিশন দাখিল করা হয়।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মোমিনুল ইসলাম বলেন, পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। রোববার শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য কেএমপির ডিসি ডিবিকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আগামী ২৫ মার্চ মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।  

এর আগে আদালতে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে পিবিআই পরিদর্শক মো. বাবলুর রহমান খান উল্লেখ করেন, মামলার প্রধান আসামি খালিশপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাসিম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।  

একই ভাবে আসামি এএসআই রাসেল, এসআই তাপষ কুমার পাল, এসআই মো. মোরসেলিম মোল্লা, এসআই মো. মিজানুর রহমান, কনস্টেবল আল মামুন, আনসার সদস্য মো. আফসার আলী, ল্যান্স নায়েক আবুলহাসেম, আনসার নায়েক রেজাউল হক, এসআই মো. নূর ইসলাম, এসআই সৈয়দ সাহেব আলী, সুমা আক্তার এবং মো. রাসেলের বিরুদ্ধেও অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ।  

এর আগে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলি আদালতে দাখিল করা শাহজালালের মা রেনু বেগম এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই শাহ জালাল মহানগরীর নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনির শ্বশুর বাড়ি থেকে রাত ৮টায় মেয়ে শিশু দুধ কেনার জন্য বাসার পাশ্ববর্তী দোকানে যান।  

এ সময় খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খানের নির্দেশে তাকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে ওসি তাকে ছাড়ানোর জন্যদেড় লাখ টাকা দাবি করেন। দাবি করা টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা শাহজালালকে পুলিশের গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে যায়।

পরদিন ১৯ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাকে দু’টি চোখ উপড়ানো অবস্থায় দেখতে পান তার পরিবারের সদস্যরা।  

এ সময় শাহজালাল জানান, পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে গাড়িতে করে গোয়ালখালী হয়ে বিশ্ব রোডের (খুলনা বাইপাস সড়ক) নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-পা চেপে ধরে এবং মুখের মধ্যে গামছা ঢুকিয়ে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে দু’টি চোখ উপড়ে ফেলে।  

এ ঘটনায় শাহজালালের মা রেনু বেগম বাদী হয়ে ১১ পুলিশ ও আনসার কর্মকর্তাসহ ১৩জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা,  ফেব্রুয়ারি ২৫ , ২০১৮
এমআরএম/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্রাইব্যুনাল এর সর্বশেষ