ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

বিজেপির হার সময়ের অপেক্ষা মাত্র: জিতেন্দ্র চৌধুরী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
বিজেপির হার সময়ের অপেক্ষা মাত্র: জিতেন্দ্র চৌধুরী 

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে ফল প্রকাশ এখনো বাকি।

ভোট গ্রহণ এবং ফল প্রকাশের মধ্যে যে সময় রয়েছে, এই সময় রাজ্যজুড়ে নানা ধরনের প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে। প্ররোচনার জেরে খোয়াই জেলায় দিলীপ শুক্লদাস নামে এক কর্মী খুন হয়েছে বলে দাবি সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদ জিতেন্দ্র চৌধুরীর।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানী আগরতলার মেলার মাঠ এলাকার সিপিআইএম দলের ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।
 
তিনি বলেন, প্ররোচনাকারীরা বিভিন্ন ব্যক্তির নামে বিমানের ভুয়ো টিকিট কেটে, এগুলো বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করছে। ইলেকট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মজুদ রাখার জনগণের ভোটে কারচুপি করার জন্য ভিনরাজ্য থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে আসার গুজব ছড়ানো হচ্ছে। রাজ্যবাসীর মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি এবং সৌভ্রাতৃত্ব নষ্ট করে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য দুই একটি চক্র গুজব ছড়াচ্ছে বলেও তিনি এদিন দাবি করেন। এইসব গুজব সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকারও আহ্বান রাখেন।

তিনি আরও বলেন, ভোটকে কেন্দ্র করে অবৈধ আর্থিক লেনদেন করা ত্রিপুরা রাজ্যের সংস্কৃতি নয়, এসব ত্রিপুরা রাজ্যে আগে কখনো হয়নি। কিন্তু বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে ভোট প্রভাবিত করার জন্য কালো টাকা বিলি করার সংস্কৃতি চলে এসেছে। বহু জায়গায় এসব অর্থ বন্টনের চেষ্টা হয়েছে। তবে অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষ কালো টাকা গ্রহণ করেননি, তারা এর বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনের কাছে অবৈধ ভাবে অর্থ বন্টনকারীদের তুলে দিয়েছেন। এবছর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা রাজ্যে এসেছে বলে নির্বাচন কমিশন নিজেও জানিয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণ কালো টাকা জব্দ করেছে বলে দাবি জিতেন্দ্র চৌধুরীর।

ত্রিপুরা রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দাবি করে জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, তাদের সময় শেষ হয়ে আসছে তা তারা বুঝতে পেরে নানা প্ররোচনা মূলক কাজ করছে। বর্তমান সরকারের হার নিশ্চিত। বিজেপি দল চূড়ান্ত ভাবে হারবে এই নির্বাচনে। রাজ্যের ৬০টি বিধানসভা আসন থাকলেও তাদের আসন এক সংখ্যায় নেমে আসবে। ভোট গণনার দিন তা প্রমাণিত হবে। বিজেপির হার সময়ের অপেক্ষা বলেও দাবি করেন তিনি।

ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার পর রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। জিতেন্দ্র চৌধুরীর অভিযোগ এই সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে শান্তি সম্প্রীতির পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে কোনো বার্তা দেননি। এমনকি রাজনৈতিক সংঘর্ষে তাদের যে কর্মীর মৃত্যু হয়েছে তার প্রতি সমবেদনা জানাননি, যা রাজনৈতিক সৌজন্যতার পরিপন্থী বলে অভিমত ব্যক্ত করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী।  

এদিনের এই সংবাদ সম্মেলনে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ কর।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এসসিএন/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।