ত্রিপুরার উত্তর জেলা ধর্মনগরের দেওয়ানপাশা এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ দাসের বাড়িতে দেখা মিললো একটি মুকুল শোভিত দারুচিনি গাছ। প্রায় ২০ বছর আগে খানিকটা শখের বশে বাজার থেকে কলমের একটি দারুচিনির চারা এনে লাগান তিনি।
দু’বছর পর পর গাছের ডাল ছেঁটে দিতে হয়। মূলত তখনই গাছের ছাল শুকিয়ে রাখেন প্রদীপ। আশপাশের বাড়ির লোকজনও তার গাছের ডালগুলি থেকে দারুচিনি নিয়ে যান।
বিক্রির কথা তিনি কখনোই ভাবেননি। নিজের প্রয়োজন মিটে যাচ্ছে এতেই খুশি। দারুচিনি গাছ থেকে কলম করেও চারা তৈরি করা যায়। চারা কখনো করেছেন কি? এর উত্তরেও প্রদীপ জানান, কীভাবে কলমের চারা তৈরি করতে হয় তা তিনি জানেন না। তাই কখনো চেষ্টা করেননি।
ভারত, ব্রাজিল, শ্রীলংকা, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মিশর প্রভৃতি দেশে দারুচিনি চাষ হয়। ভারতের দক্ষিণের রাজ্যের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘালয় রাজ্য ও অরুণাচল প্রদেশে প্রচুর দারুচিনি চাষ হয়। বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৩৫ হাজার টন দারুচিনি উৎপাদিত হয় বলে জানা যায়।
দারুচিনি গাছ দেখতে অনেকটা তেজপাতা গাছের মতো। গাছের আকার, পাতার ধরন দেখে একে তেজপাতা গাছ ভেবে ভুল করেন বেশিরভাগ মানুষ।
আবার দারুচিনির মুকুল দেখতে আমড়ার মুকুলের মতো। আবার আম ও আমড়ার মতো দারুচিনির মুকুলও শীতকাল থেকে আসতে শুরু করে। তাই আমড়া ভেবে ভুল বেশি হয়।
ত্রিপুরা সরকারের উদ্যান পালন অধিদফতর এখন অন্য মসলা চাষের সঙ্গে দারুচিনি চাষের প্রতি সাধারণ মানুষকে আগ্রহী করতে চেষ্টা করছে। তাই দফতর বিভিন্ন প্রদর্শনী স্টলে ত্রিপুরায় উৎপাদিত দারুচিনির প্রদর্শন করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৭।
এসসিএন/এএ