১৯৬৯ সালের ০১ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া-দিল্লি রুটে প্রথম রাজধানী এক্সপ্রেস চালু হয়। ১৯৭২ সালের ১৭ মে থেকে চলছে মুম্বাই-দিল্লি রেলপথে।
এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর সঙ্গে দিল্লিকে সংযুক্ত রেখেছে ট্রেনটি।
আর এবার থেকে প্রতি সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আগরতলা রেলস্টেশন থেকে রওনা হয়ে দুই হাজার ৪৫৭ কিমি দূরত্ব ৪১ ঘণ্টায় অতিক্রম করে বুধবার স্থানীয় সময় ১১টা ২০ মিনিটে দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাবে রাজধানী এক্সপ্রেস। বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে আনন্দ বিহার স্টেশন থেকে ছেড়ে শুক্রবার ১টা ৩০ মিনিটে আগরতলায় এসে পৌঁছাবে।
আপাতত দিল্লি-আগরতলা রুটে সপ্তাহে একদিন চলবে ট্রেনটি। রাজধানী এক্সপ্রেসে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর আসন রয়েছে। ট্রেনটি সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এতে যাত্রীবাহী বগির পাশাপাশি দু'টি লাগেজ বগি ও দু'টি জেনারেটার বগি রয়েছে।
আগরতলা থেকে দিল্লির প্রথম শ্রেণীর ভাড়া সাত হাজার ৬০ রুপি, দ্বিতীয় শ্রেণীর ভাড়া চার হাজার ৩৩০ রুপি ও তৃতীয় শ্রেণীর ভাড়া তিন হাজার ২০০ রুপি। তবে প্লেনের মতো চাহিদা অনুসারে এ ট্রেনের ভাড়াও বাড়বে।
ভারতের রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগরতলার রাজধানী এক্সপ্রেসটি ত্রিপুরার পাশাপাশি আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ হয়ে দিল্লিতে যাবে। যাত্রাপথে ট্রেনটি মোট ১২টি স্টেশনে থামবে।
আগরতলা থেকে ছেড়ে ত্রিপুরা রাজ্যের শুধু ধর্মনগর স্টেশনে দাঁড়াবে। আসামের মোট আটটি স্টেশনে থামবে। সেগুলো হলো- নিউ করিমগঞ্জ, বদরপুর, নিউ হাফলং, হোজাই, গৌহাটি, কামাক্ষ্যা, রাঙ্গিয়া ও বরপেটা রোড।
পশ্চিমবঙ্গে শুধুমাত্র নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে দাঁড়াবে। এরপর বিহারের কাটিহার, বারাউনি ও পাটলিপুত্র স্টেশনে দাঁড়াবে। সবশেষে উত্তরপ্রদেশের মোগলসরাই ও কানপুর হয়ে দিল্লির আনন্দ বিহার স্টেশনে পৌঁছাবে।
ত্রিপুরাবাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষও এ বিলাসবহুল ট্রেনের সুবিধা নিতে পারবেন। তারাও এ ট্রেনে চড়ে আগরতলা হয়ে দ্রুত ও সহজেই ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে যেতে পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
এসসিএন/এএটি/এএসআর