লকেট চট্টপাধ্যায় তার বক্তব্যে বলেন, ভারতের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্য নারী নির্যাতনে প্রথম। এই রাজ্যে ৮৬ শতাংশ নারীর উপর নির্যাতন হয়।
তিনি বলেন, দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যের রাজনীতি একই দিকে চলছে। ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ বড় ব্যথার মধ্যে রয়েছেন। গোবিন্দ মানিক্যের সময় এ রাজ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়েছিলো। সেই রক্ত সিপিআই (এম) দল আবার ফিরিয়ে এনেছে কি? ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে ভাই-বোনের সরকার চলছে। তারা উন্নয়ন করছে ধর্ষণ ও চিটফান্ডের। পশ্চিমবঙ্গে আদিবাসী মেয়েদের ধর্ষণ করে পার পেয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের জন্য। একই ভাবে ত্রিপুরা রাজ্যে পার পেয়ে যাচ্ছে সিপিআই (এম) দলের জন্য। তাই প্রয়োজনে নারীদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। কারণ, পুলিশ নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
লকেট বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আর মানিক সরকার রাজ্যকে ঠিক উল্টো দিকে টেনে নিচ্ছেন। তাই খুব দ্রুত ত্রিপুরায় বিজেপি’র সরকার আসছে। ত্রিপুরা রাজ্যের এই পরিবর্তন পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে যাবো।
ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপি সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ভোট মানিক সরকারের ঝুলিতে যাচ্ছে না। ত্রিপুরা রাজ্যে বিজেপি সরকার এলে তাঁত শিল্পকে আবার উজ্জীবিত করা হবে।
ত্রিপুরা প্রদেশ মহিলা মোর্চার সভানেত্রী রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, রাজ্যের নারীরা ভোটের মাধ্যমে এই নির্যাতনের প্রতিশোধ নেবে।
সম্মেলনে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রচুর সংখ্যক নারীর সমাগম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১৭
এসসিএন/জেডএম