ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

করোনার মাঝেও গত বছরের চেয়ে এবার বেশি আনারস রপ্তানি হয়েছে

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০
করোনার মাঝেও গত বছরের চেয়ে এবার বেশি আনারস রপ্তানি হয়েছে

আগরতলা (ত্রিপুরা): করোনা অতিমারির মাঝেও এ বছর ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আনারস রপ্তানি গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি হয়েছে। বাংলানিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায়।

ত্রিপুরা রাজ্যের ক্যুইন আনারস স্বাদের কারণে বিশ্ব বিখ্যাত। ক্যুইন আনারসের জন্য ত্রিপুরা রাজ্য ভৌগলিক সনদ (জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন ট্যাগ) পেয়েছে। এছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যে কিউই প্রজাতির আনারসও খুব ভালো মানের এবং বিপুল পরিমাণে চাষ হয়ে থাকে। নতুন সরকার ত্রিপুরা রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি বাংলাদেশ, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করছে।

এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্ব জুড়ে দীর্ঘ দিন লকডাউন ছিল। এই কারণে ত্রিপুরা রাজ্যের চাষিরা মৌসুমের শুরুতে আনারস রপ্তানির বিষয়ে আশঙ্কায় ছিলেন। কিন্তু এ বছর আনারসের মৌসুমের শেষে ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায় জানান, এ বছর ত্রিপুরা রাজ্য থেকে ২হাজার মেট্রিকটনের বেশি রপ্তানি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০ মেট্রিকটন আনারস দুবাইতে রপ্তানি করা হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ৭শ' মেট্রিকটন আনারস রপ্তানি করা হয়েছিল। এ বছর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ না থাকলে আরো বেশি পরিমাণ আনারস রাজ্য থেকে রপ্তানি করা সম্ভব হতো বলেও তিনি জানান।

মন্ত্রী আরও জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর চাষিরা আনারসের দামও বেশি পেয়েছে। গত বছর চাষিদের কাছ থেকে রপ্তানিকারকরা প্রতি আনারস কিছু ২৫রুপি করে কিনে ছিলেন আর এ বছর প্রতিটি আনারস ২৯ রুপি করে কিনেছে।

শুধু আনারস রপ্তানিই বৃদ্ধি পেয়েছে এমন নয়, নতুন করে রাজ্যে আনারস চাষের জমিও বাড়ছে। নতুন নতুন চাষিরা আনারস চাষের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করছেন। গত দু'বছরে ত্রিপুরা রাজ্যে দুই হাজার হেক্টর জমিতে নতুন করে আনারস লাগানো হয়েছে। ত্রিপুরা সরকারের কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দফতরের তরফে আনারস চাষিদেরকে হেক্টর পিছু প্রায় ৪৪ হাজার রুপি করে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। সরকার চাইছে রাজ্যের এক ইঞ্চি জমিও যাতে পতিত না থাকে তার জন্য উৎসাহ বৃদ্ধি করতে কৃষকদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘন্টা, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
এসসিএন/এমএমএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।