রিয়াদ: সৌদি সরকারের নতুন হজনীতির কারণে বাংলাদেশের বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে হজে যাওয়া যাত্রীদের নিয়ে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিলো তা কেটে গেছে।
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সফরে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সফল আলোচনার মধ্য দিয়ে এ অনিশ্চয়তা দূর হয়।
সোমবার দিনভর মন্ত্রীসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন। পরে রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
সৌদি সরকার ২০১৪ সালে হজের সকল ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হবে এমন ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়- সৌদির স্থানীয় ব্যাংকে হাজিদের হিসাব খোলা, ব্যাংক চেকের মাধ্যমে হাজিদের বাড়িভাড়া পরিশোধ করা এবং যাতায়াতসহ শতভাগ ব্যয় ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন বাধ্যতামূলক করা হয়।
কিন্তু বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলো এ নিয়ম মানেনি। ফলে এ বছর হাজিদের নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
এ প্রেক্ষাপটে সোমবার ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নেতৃত্বে জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট, মক্কার বাংলাদেশ হজ মিশন, বেসরকারি হজ এজেন্টদের সংগঠন হাব এর একাট প্রতিনিধি দল সৌদির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় তারা সৌদি ধর্মমন্ত্রী ড. বন্দর বিন হাজ্জাজ এবং দক্ষিণ এশিয়া হাজিসেবা সভার চেয়ারম্যান রাফাজ বিন বদরের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন।
তারা এ বছর হজের তিনটি শর্ত শিথিলের জন্য সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আগামী বছর থেকে নতুন এ প্রক্রিয়া যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে বলেও অঙ্গীকার করেন।
সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেন। আর এর মধ্য দিয়ে সকল অনিশ্চয়তা দূরে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৪