রিয়াদ: বিশ্বের ১৬৩টি দেশ থেকে আগত ২০ লক্ষাধিক মুসলমান শুক্রবার সারারাত মুজদালিফায় খোলা আকাশের নিচে অবস্থানের পর ফজরের নামাজের পর পরই মিনায় বড় শয়তানকে ৭টি পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানিতে ব্যস্ত রয়েছেন। সূর্যোদয়ের পর থেকেই হাজিরা মুস্তাহালাকায় আসতে শুরু করেছেন।
অধিকাংশ হাজি নিজে মুস্তাহালাকায় (পশুর হাট ও জবাই করার স্থান) গিয়ে কোরবানি দিচ্ছেন। আবার অনেকে বিশ্বস্ত লোক অথবা মোয়াল্লেমের (হাজিদের গাইড) মাধ্যমে পশু কোরবানি করিয়ে থাকেন।
ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংকে (আইডিবি) এ বছর কোরবানির জন্য ৪৯০ রিয়ালের প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। হাজিরা চাইলে পশুর হাটে না গিয়েও আইডিবি থেকে ৪৯০ রিয়ালের টোকেরন ক্রয় করে কোরবানি করতে পারবেন। টোকেনে কোরবানির স্থান ও সময় উল্লেখ করা থাকে। এছাড়া হাজিরা ইচ্ছা করলে কোরবানির সময় ব্যাংকের বুথ থেকে জেনে নিতে পারবেন।
পশু কোরবানির পর মাথা মুণ্ডন করে গোসল করবেন। তারপর সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় বদল করে স্বাভাবিক পোশাক পরিধান করবেন হাজিরা।
তারপর তাওয়াফে ইফাদা (কাবাঘর তাওয়াফ) এবং সায়ী (সাফা-মারওয়ায় সাত চক্কর) শেষ করে ফের মিনায় ফিরে যাবেন।
১১ ও ১২ জিলহজ (রোব এবং সোমবার) মিনায় অবস্থান করে সূর্য হেলে পড়ার পর প্রতিদিন ছোট, মধ্য ও বড় জামারায় পাথর নিক্ষেপ করে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করবেন হাজিরা।
যারা ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগে মিনা ত্যাগ করতে পারবেন না, তারা ১৩ তারিখ মঙ্গলবার সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করবেন এবং জামারায় ১১ ও ১২ তারিখের মতো পাথর নিক্ষেপ করবেন।
এরপর বুধবার মক্কায় অবস্থান করে বিদায়ী তাওয়াফ সম্পন্ন করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করবেন হাজিরা। আর যারা মদীনা জিয়ারত করবেন না তারা মদীনার উদ্দেশে মক্কা ত্যাগ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৪