মক্ক হজ মিশন ক্লিনিক থেকে: দু’দিন থেকে বাম চোখে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে মক্কায় বাংলাদেশ হজ মিশনের ক্লিনিকে আসেন ৮০ বছর বয়সী নোয়াখালীর হালিমা খাতুন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
জরুরিভাবে ডাক্তার দেখালে চিকিৎসক তাকে দ্রুত আল নুর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
ক্লিনিকের সামনে এ্যাম্বুলেন্স দাড়ানো থাকলেও চালকের অভাবে দুই ঘণ্টায় ও আল নুর হাসপাতালে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা হয়নি হালিমা খাতুনের। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
রোগীর স্বজনদের পক্ষ থেকে এ্যাম্বুলেন্স ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে একেকবার একেক রকম (খেতে গেছে, নামাজ পড়তে গেছে, ফোন ধরছেনা) উত্তর দেন রিসিপশনে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
বাংলানিউজের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ক্লিনিকের টিম লিডার ডাক্তার খিজির হায়াত বলেন, এ্যাম্বুলেন্স দুটি হলেও ড্রাইভার একজন আর সে এখন মিনা আছে। মিনার রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম তাই আসতে দেরি হচ্ছে। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
রিসিপশন থেকে একেকবার একেক উত্তর দেয়ার কারণ জানতে চাইলে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি ডাক্তার খিজির হায়াত। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
হজ মিশনের ক্লিনিক এবং অন্যান্য হাসপাতালে কতজন বাংলাদেশি রোগী জানতে চাইলে তিনি বলেন, অসংখ্য অসংখ্য। আগামীকাল থেকে আরও বাড়বে। হজের পর সৌদি সরকারি হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না করার আশঙ্কার কথাও জানান খিজির হায়াত। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
সোমবার দুপুরে মক্কায় বাংলাদেশ ক্লিনিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ডাক্তারের আসনই ফাঁকা। রোগিরা দীর্ঘক্ষণ বসে থেকেও ডাক্তারের দেখা পাচ্ছেন না। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
ডাক্তার না থাকার কারণ জানতে চাইলে রিসিপশন থেকে জানানো হয়, ডাক্তার সাহেবরা মিনা গেছেন শয়তানকে পাথর মারতে। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
এদিকে ক্লিনিকের হজ ম্যানেজমেন্ট ডেস্কে লুঙ্গি পরে একজনকে কাজ করতে দেখে তার পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে স্টাফ বলে দাবি করেন। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
এক ঘণ্টার মধ্যে ওই ডেস্কে একাধিক ব্যক্তির কাজ করা দেখে ডেস্কের প্রকৃত কর্মকর্তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
ক্লিনিকে কর্মরত স্টাফ এবং কয়েকজন চিকিৎসকের আচরণেও ক্ষোভ জানিছেন বাংলাদেশি হাজীরা। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
ক্লিনিকের অব্যবস্থাপনার ব্যাপারে জানতে জেদ্দা বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কনসাল (হজ) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানকে ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। বাংলানিউজ রিপোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৪