রিয়াদ: সৌদি আরবে অভিবাসী পরিবারের সদস্যদের ইকামার স্পন্সর পরিবর্তন না করে চাকরির সুযোগ মিলছে বলে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার সত্যতা নাকচ করে দিয়েছে দেশটির শ্রম মন্ত্রণালয়।
গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় দৈনিক সৌদি গেজেট পত্রিকায় ‘সপরিবারে সৌদি আরবে বসবাসকারী অভিবাসীদের জন্য সুখবর’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয় সেখানে বসবাসরত অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যদের ইকামার স্পন্সর পরিবর্তন না করে চাকরির সুযোগ দিচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সংবাদটি সত্য নয় বলে জানায় সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়।
শ্রম অফিসের পরিচালক সুলতান আল হারবি জানান, প্রকাশিত সংবাদটি সত্য নয়।
তিনি আরও বলেন, স্পন্সর পরিবর্তন ছাড়া পরিবারের সঙ্গে থাকা নারীরা প্রাইভেট স্কুলে চাকরি করতে পারবেন এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বরঞ্চ এই ব্যাপারে শ্রম মন্ত্রণালয়ের নেওয়া আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।
হারবি আরও বলেন, তবে এ বিষয়টি নিয়ে একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয় স্টাডি করছে। এটি কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, একটি প্রস্তাবনা মাত্র।
নিতাকাত প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, সৌদি আরবে বসবাসরতরা চাকরি করতে হলে যেকোনো নিয়োগকর্তার অধীনে ইকামা পরিবর্তন করে তারই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে হয়। এর ফলে সৌদি আরবের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অভিবাসী নাগরিকদের পরিবারের সদস্যরা চাকরি হারায়।
অভিবাসী নাগরিকরা তাদের স্ত্রী ও কন্যাদের চাকরির জন্য অন্য কোনো নিয়োগকর্তার অধীনে ইকামা পরিবর্তন করতে অস্বীকৃতি জানায়।
যার ফলে সৌদি আরবের অসংখ্য বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক স্বল্পতার কারণে বন্ধ হবার উপক্রম হয়। বিপর্যয় নেমে আসে শিক্ষাখাতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৪