রিয়াদ: বাংলাদেশিদের জন্য রোববারেই খুলে দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবের শ্রম বাজার। দেশটির রাজকীয় আদালতে মন্ত্রিসভার প্রস্তাব পাশ হয়ে যাওয়ার পর এইদিনেই বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ায় আর কোনো বাধা থাকছে না।
দেশটির যে কোনো বেসরকারি কোম্পানি এখন বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে পারবে।
বিষয়টি বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন সৌদি আরবের শ্রম মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আহমেদ এফ আলফায়েদ।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল ইসলামের কাছে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানান। পরে দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার থেকেই খুলে গেছে সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার।
এতে আরও বলা হয়, উপমন্ত্রী তার টেলিফোন বার্তায় রাজকীয় আদালতের সিদ্ধান্তের কথাটি জানান। তিনি আরও জানান, সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। নতুন করে শ্রমিক নিয়োগের কার্যপদ্ধতি চূড়ান্ত করতেই দলটির বাংলাদেশ সফর।
দূতাবাসের কাউন্সিলর (রাজনৈতিক) মোশাররফ হোসেন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০০৯ সালে সৌদি আরব সফরের মধ্যে দিয়ে যে প্রক্রিয়ার শুরু হয়, পরবর্তিতে অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশ দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এই সাফল্য এসেছে। এরই অংশ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী বার বার সৌদি আরব সফর করেন।
এর আগে ২০০৮ সালে সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে।
সৌদি আরবের শ্রমমন্ত্রী প্রকৌশলী আদেল বিন মুহাম্মদ ফাকেহ দ্বি-পাক্ষিক আলোচনায় আগেই জানান, তার দেশ বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে পুরোপুরি প্রস্তুত। এছাড়াও বাংলাদেশের মানব সম্পদ উন্নয়নে ঘনিষ্ট সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সৌদি আরবে বাংলাদেশের শ্রম বাজার খুলে দেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে একটি বড় ধরনের কূটনীতিক সাফল্য বলেও উল্লেখ করেছে দূতাবাস। কূটনৈতিক অর্জন ও বাংলাদেশ-সৌদি আরব দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইল ফলক হয়ে থাকবে বলেও মনে করে দূতাবাস।
এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পেশাজীবী, দক্ষ, আধা-দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমশক্তি সৌদি আরবের বিভিন্ন পর্যায়ে নিযুক্ত হয়ে কাজ করার সুযোগ পাবে।
বাংলাদেশ সময় ২০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫
** ফের শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন সৌদি রয়েল কোর্টে