রিয়াদ: আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয়ে মাঠ-ঘাট দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা।
তবে প্রযুক্তির এই যুগে মাঠে-ময়দানে প্রচারণা চালিয়ে জয় নিশ্চিত মানতে রাজি নন প্রার্থীরা। সেজন্য বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক।
তিন সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেসবুকেও জোর প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। নির্বাচনী আমেজে অনেকে সাজিয়েছেন হোমপেজ। অনেকে আবার নির্বাচনী ইশতেহার প্রচারে বেছে নিয়েছেন হোমপেজকে। এসব পেজে নিজেকে অনেকে ‘আপোষহীন’ নেতা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন।
প্রার্থীদের এ প্রচারণায় যোগ হয়েছেন সমর্থকরাও। নিজ নিজ অ্যাকাউন্ট ছাড়াও সমর্থকরা তার পছন্দের প্রার্থীদের নামে খুলেছেন একাধিক ‘সাপোর্টার ফ্যান পেজ’। এসব পেজে লাইকও রয়েছে বেশ।
রোববার (১২ এপ্রিল) ফেসবুক ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন রোববার সকাল ১০টায় তার ফেসবুক পেজে নির্বাচনী ইশতেহার সংবলিত একটি ছবি পোস্ট করেন। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগের ছবি পোস্ট করতেও দেখা গেছে। তার এ পেজে ফ্যান সংখ্যা চার হাজারের কিছু বেশি।
উত্তরে ২০ দল সমর্থিত তাবিথ আউয়াল মিন্টু ফেসবুকে সবশেষ পোস্ট করেছেন রোববার দুপুর দুইটার দিকে। সেখানে দেখা যায় একটি শিশুকে কাঁধে নিয়ে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন তাবিথ। ফ্যানের দিক থেকে সাঈদ খোকনের খুব কাছাকাছি অবস্থান করছেন তিনি।
এদিকে বিএনপি দফতরের দায়িত্ব পাওয়া অপর প্রার্থী ড. আসাদুজ্জামান রিপন সবশেষ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন জানুয়ারির ৪ তারিখ।
তবে ফ্যানের দিক থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র পার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া অপর তিন প্রার্থীর চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছেন তিনি। তার ফ্যান সংখ্যা ১৪ হাজার ৭৩২ জন।
অনলাইনে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন (দক্ষিণ)।
দীর্ঘদিন ফেসবুকে সক্রিয় না থাকলেও আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপরতা শুরু করেছেন মিলন। তার বর্তমান ফ্যান সংখ্যা ২৩৬ জন।
বিশ্বায়নের এই যুগে মাঠে ময়দানের পাশপাশি ফেসবুক একটি বড় মাধ্যম, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেই গুরুত্বকে সামনে রেখেই ফেসবুকে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে শেষ হাসি কে হাসবে তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৫
এমএএ/জেডএস