রিয়াদ: আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) শর্ত পূরণের জন্য ২০১১ সাল থেকে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট তৈরির কাজ শুরু করে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট।
শুরু থেকে এপর্যন্ত দূতাবাস এবং কনস্যুলেট আট লাখেরও বেশি পাসপোর্ট এনরোলমেন্ট করে।
রোববার (০৮ নভেম্বর) বিকেলে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটে এমআরপি বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ।
তিনি বলেন, এ মুহূর্তে রিয়াদ দূতাবাসে ৩০হাজার এবং জেদ্দা কনস্যুলেটে ২২হাজার এমআরপি প্রস্তুত রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে জমা পড়ে থাকা তৈরি পাসপোর্টের সংখ্যা বাড়ছে। দূতাবাস এবং কনস্যুলেটের নিজস্ব ওয়েব সাইট www.bangladeshembassy.org.sa অথবা মোবাইলে তথ্য নিয়ে নিজ নিজ পাসপোর্ট সংগ্রহ করার অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি আর বলেন, আন্তর্জাতিক সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) শর্ত অনুযায়ী ২৪ নভেম্বরের পর এমআরপি পাসপোর্ট ছাড়া কেউ উড়োজাহাজে ভ্রমণ করতে পারবেন না। তাই এই সময়ে মধ্যে সব প্রবাসীদের মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট নেওয়ার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, এমআরপি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। বর্তমানে প্রতিদিন পনের’শ এমআরপি এনরোলমেন্ট করার জনবল এবং মেশিনপত্র দূতাবাসের রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন পাসপোর্ট করতে আসছেন মাত্র দুই/আড়াইশ প্রবাসী।
জমাকৃত এমআরপি এবং ২৪ নভেম্বরের বাধ্যবাধকতার বিষয়টি আরবে বসবাসরত প্রতিটি বাংলাদেশির কানে কানে পৌঁছে দিতে সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ।
জেদ্দা কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এ কে এম শহীদুল করিম, কনসাল (পাসপোর্ট) আছিয়া খাতুন, কনসাল (শ্রম) মোকাম্মেল হোসেন, কনসাল আজিজুর রহমান, প্রথম সচিব আলতাফ হোসেন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৫
এসএইচ