রিয়াদ: দীর্ঘদিন থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত সৌদি ওজার ও সাদ কোম্পানির বাংলাদেশি শ্রমিকরা টাকা ছাড়াই ইকামা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এছাড়া যারা একেবারে দেশে ফেরত যেতে ইচ্ছুক তারাও বিনা খরচে দেশে যেতে পারবেন।
মঙ্গলবার (০৯ আগষ্ট) রাতে বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন রিয়াদ দুতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম) সারওয়ার আলম।
তিনি বলেন, গয় কয়েকদিন সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের সরকারী সংস্থা, কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশি শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছি।
এসব কোম্পানিতে কর্মরত বাংলাদেশিরা চাইলে একেবারে বিনা খরচে দেশে ফেরত অথবা অন্য কোনো কোম্পানিতে স্থানান্তর হতে চাইলে তাও করতে পারবে। তবে এই মুহুর্তে তারা কোনো নগদ অর্থ পাবেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শ্রমিকদের সার্ভিস ভেনিফিটসহ বকেয়া বেতন-ভাতা আদায়ের জন্য শ্রমিকদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করবে দুতাবাস। মামলার রায়ে প্রাপ্ত অর্থ দুতাবাসের মাধ্যমে শ্রমিকদেরকে পৌছে দেওয়া হবে।
বর্তমানে অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবা দিতে সৌদি সরকার অ্যাম্ব্যুলেন্সসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। বাংলাদেশিদের যে কোনো প্রয়োজনে দূতাবাস তাদের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে বিস্বস্ত একটি সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে সাদ এবং সৌদি ওজার কোম্পানিতে প্রায় দুই শতাধিক বাংলাদেশি আছেন। আর এই শ্রমিকদের অধিকাংশই চান এখানে থেকে যেতে। তবে কিছু শ্রমিক আছেন যারা শারীরিকভাবে অসুস্থ তারা দেশে যেতে ইচ্ছুক তবে এই সংখ্যা খুবই সীমিত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, অন্যান্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় বাংলাদেশিরা অনেক ভালো আছেন। বাংলাদেশিদের অনেকেরই কোম্পানিতে আছেন ২০/২৫ বছর ধরে। তারা আগে থেকেই নির্ধারিত ডিউটির পর পার্টটাইম কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। কোম্পানি ইকামা বানিয়ে দিলে বেতন না দিলেও অনেকেই এই কোম্পানিতে থেকে যেতে ইচ্ছুক।
যারা একেবারে দেশে ফেরত বা অন্যত্র ট্রান্সফার হতে চান তাদেরকে বুধবারের (১০ আগস্ট) মধ্যে দুতাবাসের পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিনিধি ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে ফোন ০৫৬৮৩০১৪১৪ অথবা ইমেইলঃ [email protected] যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৬
বিএস