ঢাকা: নতুন মাত্রা নিয়েছে বাংলাদেশের পর্যটন। দেশের নানা গন্তব্যে ছুটে চলতে এখন স্যোশাল মিডিয়া ভিত্তিক বেশকিছু প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখছে।
দেশে প্রথমবারের মতো রাজধানীর ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরে ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্টে অংশ নেওয়া পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্ণধারদের কাছ থেকে এমনটাই ধারণা পাওয়া গেছে। পর্যটন ম্যাগাজিন বিচিত্রার আয়োজনে পর্যটন বোর্ড ও পর্যটন করপোরেশনের সহায়তায় সেখানে চলছে এ পর্যটন মেলা।
শনিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় শেষ হচ্ছে মেলা। যুব সমাজকে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে আরো নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই চলছে ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্ট।
বাণিজ্যিক নয় গ্রুপ ভিত্তিক ঘুরে বেড়িয়ে দেশ দেখার নেশায় তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহণ পর্যটনে একটি নতুন বার্তা বলেই মনে করেন ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি কবির উদ্দিন আহমেদ।
বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, এখানে সবচেয়ে বড় কথা হলো তরুণদের বিপুল অংশগ্রহণ এবং সংগঠিত হওয়া। এর মাধ্যমে পর্যটন বিকাশে তাদের ভূমিকা ছড়িয়ে পড়ছে।
ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্টে-তেমন একটি বার্তা পাওয়া গেলো বলে মনে করেন পর্যটন বোর্ডের এ সদস্য।
কবির উদ্দিন আহমেদ গত সপ্তাহে সিডনিতে এক প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সেখানে ভিজিট বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সহিংসতা ও সংঘাতের ঘটনা বলা হলেও আমি তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছি, বিশ্বের বহুদেশে এরচেয়ে অনেক বেশি সংঘাত-সহিংসতা হচ্ছে। কিন্তু সেসব নিউজ হচ্ছে না। শুধু বাংলাদেশে কিছু হলেও এটা হাইলাইট হয়ে যাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ নেতিবাচক বিষয়।
ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্টে অংশ নিয়েছে ‘বেড়াই বাংলাদেশ’ নামে একটি পর্যটন প্রতিষ্ঠান। প্রতি সপ্তাহে যারা দিনব্যাপী ও দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ভ্রমণ করে থাকেন। এর কর্ণধার মাহমুদ হাসান খান বাংলানিউজকে বলেন, এই মেলায় যেসব স্টল অংশ নিয়েছে তার প্রায় সবক’টি অ্যামেচার, বাণিজ্যিক নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ রাশেদুল হাসান জানান, ২০১৩ সালে ১০০ কোটি পর্যটক সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়িয়েছেন। যাদের ২০ ভাগ তরুণ। বাংলাদেশেও পর্যটকদের একটি বড় অংশ তরুণরা।
সম্প্রতি বান্দরবানের উপর পরিচালিত তাদের এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে জানান, সেখানে দেখা গেছে ৭০ ভাগ তরুণ যারা অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমে বেরিয়েছে।
বিশ-ত্রিশ বছর আগে যা ছিলো তার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। ব্যাক পেকারদের ধারণা আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। এখনকার বিশ্বে কেউ একটা স্থানে গিয়ে ৪০ থেকে ৫০ দিনও থাকছে।
ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্টের ‘বিডি সাইক্লিস্ট’ স্টলে বসে সাইক্লিস্ট সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, এখন সাইক্লিং ট্যুরিজমের যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে সেটা বাংলাদেশে এর আগে কখনও ছিলো না। সাইক্লিস্ট দলগুলো বেড়িয়ে পড়ছে দেশের এক মাথা থেকে আরেক মাথায়।
কম্যুনিটিভিত্তিক সাইক্লিং প্রমোটে যুক্ত সবুজ আরও জানান, কাউকে বিরক্ত না করে কোনো ধরনের নিয়ম না ভেঙ্গে কিভাবে সাইক্লিং করবেন তা আমরা শেখাই।
তিনি জানান, মাউন্টেন বাইকিংয়ের জন্য এখন সাইক্লিস্টদের প্রধান জায়গা হলো সিলেটের হবিগঞ্জের রেমা কালেঙ্গা। আর যদি বলা হয় সাইক্লিংয়ের রাজধানী তাহলো এর উত্তর সিলেটের শ্রীমঙ্গল। বিদেশিরা ওখানে গিয়ে সাইক্লিং করতে চায় খুব বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৬
এসএ/জেডএস
** বাংলদেশ ইয়ুথ ট্যুরিজম ফেস্ট শুরু