পর্যটন মোটেল শৈবাল থেকে: দূরবীণে দৃষ্টি। সৈকতে অস্থায়ী ওয়াচ টাওয়ারে বসে জহিরের এমন দৃষ্টি বাঁচিয়ে দিয়েছে শত প্রাণ।
গত শুক্রবার বিকেলে ১০-১২ জন পর্যটক যখন টিউব নিয়ে খেলতে খেলতে লাবনী বিচের ক্যানেলে পড়ে মৃত্যুর পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন দৌড়ে গিয়ে উদ্ধার করেন এই জহির।
জহির এখন সৈকতের সতর্ক প্রহরী। একই সঙ্গে তিনি সার্ফার। সমুদ্র তীরে অনিন্দ্যসুন্দর জলক্রীড়া উপহার দেন পর্যটকদের। পাশাপাশি কাজ করেন প্রহরী হিসেবেও।
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) টানা ৮ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের শেষ পর্যায়ে যখন সন্ধ্যা নামছে, তখন লাবনী বিচে কথা হয় জহিরের সঙ্গে। ২০১১ সালে সাফিংয়ে আসেন কক্সবাজারের জহির।
তিনি বলেন, ‘রাশেদ ভাই আমাকে সার্ফিংয়ে নিয়ে আসেন। ট্রেনিং নিয়ে সার্ফার হয়ে যাই। এখন ভালো লাগে যখন সার্ফিং করি। আরও ভালো লাগে যখন সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে বিপদে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসি। ’
সুগন্ধা ও লাবনী এ দুই বিচে কাজ করে তাদের ‘লাইফ সেভিং’ সংগঠন। জানান জহির। জহিরের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ডিউটি শেষ করে হাজির আরেক সার্ফার সিফাত। সঙ্গে তাদের সার্ফিং ক্লাবের সভাপতি রাশেদ।
ছোটবেলায় সৈকত পরিষ্কারের চাকরি করতেন। সিফাতের সারাদিন কেটে যেত সৈকতে। ২০০৫ সালে সারা বছর সৈকত পরিষ্কার করে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তিনি।
কিন্তু এখন কৃতিত্ববান সার্ফার। সার্ফিং নামে ‘জলক্রীড়া’ বাংলাদেশে এখনো নতুনই। যে ক’জন পরিচিত সার্ফার তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।
তাদের ক্লাবের সভাপতি রাশেদ বাংলানিউজকে জানান, সার্ফিংয়ে তাদের ৫০ জন সদস্য এ সৈকতে জলক্রীড়ায় মগ্ন থাকেন। এদের মধ্যে ১৯ জন সার্ফিংয়ের পাশাপাশি সৈকতের লাইফ সেভিং- এর দায়িত্ব পালন করেন। সার্ফিংয়েএরা অত্যন্ত দক্ষ এবং বিপদে পড়া যেকোনো পর্যটককে দ্রুত উদ্ধারে পটুহস্ত।
বাংলাদেশ সময়: ৬২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৬
এসএ/এসএইচ/পিসি
** হাওয়া অফিস খাঁ খাঁ, ঐতিহ্যের শরীরে টাইলস আগ্রাসন