পারাবত ট্রেন থেকে: রুমাল, চিরুনি, জুস, কোমল পানীয়, পানি, লটকন, কলা, আমড়া, আনারস, ডিম, বাদাম, ঝালমুড়ি, চানাচুর, বিভিন্ন ধরনের আচার, বই, পত্রিকা, আইসক্রিম- কী নেই! আর এর সবই পাবেন ঢাকা-সিলেট রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনে।
ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত অন্তত চারটি স্টেশনে ট্রেনের জানালা দিয়ে উৎপাত করে হিজড়ার দল।
ঢাকা থেকে সিলেটগামী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
গুনে দেখা গেছে, পারাবত এক্সপ্রেসে বিভিন্ন স্টেশন থেকে ওঠা ৭০ জন হকার বিনা বাধায় তাদের মালামাল বিক্রি করছেন। এতে যাত্রীদের ভোগান্তি ছাড়াও লাখ লাখ টাকা দিয়ে ট্রেনের ক্যাটারিং লিজ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের মুখে পড়ছে।
পারাবত ট্রেনটির ক্যাটারিং লিজ নেওয়া প্রতিষ্ঠান মেসার্স ওবায়দুল হক অ্যান্ড ব্রাদার্সের কর্মী আবুল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, নিয়ম না থাকা সত্ত্বেও হকাররা ট্রেনের ভেতর উঠে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করছেন। এতে তাদের ব্যবসা লোকসানের মুখে। শুধু চা ছাড়া তাদের তেমন কিছুই বিক্রি হয় না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে পারাবত এক্সপ্রেসে ওঠা কোমল পানীয়ের হকার আবু বাংলানিউজকে জানান, ট্রেনে শুধুমাত্র কোমল পানীয় বিক্রি করেই ৩শ থেকে ৪শ টাকা আয় হয় তার।
ঢাকা থেকে সস্ত্রীক শ্রীমঙ্গল বেড়াতে যাওয়া একটি ট্যুরিজম প্রতিষ্ঠানের পরিচালক তারেক মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের মৌসুম হওয়ায় ট্রেনে তিল ধারণেরও জায়গা নেই। যাত্রীরাই যেখানে দাঁড়াতে পারছেন না, সেখানে হকাররা ট্রেনের এ-মাথা থেকে ও-মাথা হরদম ছোটাছুটি করছেন। এর ফলে যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, স্টেশনে স্টেশনে জানালা দিয়ে হকারদের মালামাল বিক্রির সুযোগ বন্ধ করার পাশাপাশি, যাত্রীসেবার মান বাড়ানোর জন্য ট্রেনে হকার, ভিক্ষুক ও হিজড়াদের ওঠা বন্ধ করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৬
এমআই/এসএইচ/এএসআর/এসএনএস
**ট্রেন চলেছে চায়ের দেশে