মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ঘুরে: ‘অতি বর্ষণজনিত কারণে পাহাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। যে কোনো সময় ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি অতিবর্ষণের কারণে দেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত মাধবকুণ্ডে ভূমিধস ও ফাটল দেখা দেওয়ায় এমন সতর্কবাণী সাঁটিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সরেজমিনে দেখা যায়, জলপ্রপাতের পানি পড়ার ডান পাশের বেশ কিছু জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। সর্বশেষ গত ১৪ জুন দিনগত রাতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে দেবে যায় মন্দির সংলগ্ন সড়কটিও।
বিপজ্জনক এলাকা হিসেবে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে লাল পতাকা, রয়েছে সতর্কবাণীও। বেড়াতে আসা পর্যটকেরা ওই সড়ক দিয়েই হেঁটে জলপ্রপাতের পানি পড়ার কাছাকাছি যাচ্ছেন। তবে র্সাবক্ষণিক কয়েকজন পুলিশ সদস্য সেখানে টহল দিচ্ছেন পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে। দায়িত্বরত পুলিশের নায়েক আলমগীর হোসেন বলেন, যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনাসহ সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আমরা এখানে কাজ করছি।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ১৭ ও ১৮ মে টানা ভারীবর্ষণে জলপ্রপাতের ভেতরে পানি পড়ার স্থানে যাওয়ার রাস্তার এক পাশের একটি টিলায় ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ সময় ভূমিধসে জলপ্রপাতের পানি পড়ার স্থানে পর্যটকদের বিশ্রাম নেওয়ার একটি ছাউনি, ট্যুরিস্ট পুলিশের চৌকি ভেঙে পড়ে।
২১ মে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় টিলায় ফাটল আরও বেড়ে যায় বলে জানান পার্ক সংশ্লিষ্টরা। পার্কের কাউন্টার ম্যানেজার শাহেদ আহমেদ বলেন, এখানে দৈনিক হাজার দুয়েক মানুষ আসেন। ঈদসহ নানা উৎসবে এ সংখ্যা আরও বাড়ে।
সিলেট বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুল মোজাহিদ বলেন, দিনে এ ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনা হতে পারতো। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যাতে পর্যটকরা না যান, সে জন্যে ট্যুরিস্ট পুলিশকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তবর্তী থানা বড়লেখার ৮ নম্বর দক্ষিণভাগ ইউনিয়নে এ জনপ্রিয় স্পটের অবস্থান। দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটক আসেন পাথারিয়া পাহাড়ের গায়ে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের স্রোতধারার এই অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে।
ইকোপার্কে মাধবকুণ্ড জলপ্রভাত ছাড়াও রয়েছে আকর্ষণীয় ঝরনা পরিকুণ্ড। যা মাধবশ্বের মন্দিরের উত্তরে ঈগল চত্বর হয়ে মাধবছড়া দিয়ে একটু এগোলেই চোখে পড়বে। তবে বর্ষাকালেই শুধু প্রাণ ফিরে পায় এটি।
সিলেট সদর থেকে ৭২ কিলোমিটার দূরে বড়লেখা-জুড়ী সড়কের কাঁঠালতলী বাজার থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তরে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক। মৌলভীবাজার জেলা থেকে যার দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার।
যোগাযোগ করা হলে মোবাইলে বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ৃুন.. জাফলং পর্যটনে বাধা ‘সড়ক’
**অযত্নে-অবহেলায় আদিত্যপুর গণকবর
**যাত্রীর ইয়ার্ডে পাবলিকের কার পার্কিং
** ফাংশন নেই শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে
** সন্ধ্যে হতেই দোকান উঠে যায় বানিয়াচং বাজারে
** দু’টি পাতার একটি কুড়ির নিচেই অন্ধকার
** পর্যটনে আকর্ষণ তারাও
** স্বচ্ছ লেকে লাল শাপলার নিমন্ত্রণ
** ‘মৌলভীবাজার রুটের অধিকাংশ যাত্রীই পর্যটক’
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
এমএ/টিআই