সিলেট থেকে: বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি লোভাছড়া। সেখানে মেঘ-পাহাড়ের লীলা আর স্বচ্ছ পাথুরে লোভাছড়া নদীর সৌন্দর্যে বিমোহিত হতে হয় পর্যটকদের।
লোভাছড়ায় আছে পাহাড়-নদী ঘেঁষা বহু পুরানো একটি চা বাগান। সকালে লোভাছড়া বাগানে গেলে হরিণ, খরগোশ, আর বন মোরগের দেখা মেলে। তবে আমাদের পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় ‘মায়াবন বিহারিনী হরিণী’র সাক্ষাৎ আমরা পাইনি। বন মোরগ ও খরগোশের সঙ্গেও হয়নি মোলাকাত।
কিন্তু বাড়তি পাওনা হিসেবে আমরা পেয়ে যাই বহু পুরানো একটি ঝুলন্ত ব্রিজ। লোভাছড়ার শাখা নদী নুনগাঙের বাড়-বাড়ন্ত জল প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে লোহা নির্মিত লালরঙা ব্রিজটিকে। ব্রিজের একপাশে লোভাছড়া চা বাগান অন্য পাশে অরন্য।
রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজের মতো লোভাছড়া ঝুলন্ত ব্রিজটি দেখেও বিস্মিত হতে হয়। বিস্ময় আরও বেড়ে যায় যখন দেখি ব্রিজটির গায়ে খোদাই করে লেখা ব্রিজটির নির্মাণ কাল। ব্রিজটি নির্মিত হয়েছে ১৯২৫ সালের এপ্রিল মাসে!
মালামাল পারাপারে এর সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৩ টন তাও লেখা আছে নামফলকে। চোখের অদূরে মেঘালয়ের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড়, হাতের একপাশে টিলা আর চা বাগান অন্যপাশে বন পেরিয়ে নদী বেয়ে যেতে যেতে হঠাৎ দেখা ব্রিজ মনে বিস্ময় জাগাবে সেই তো স্বাভাবিক।
যেভাবে যাবেন
সিলেট শহর থেকে প্রথমে কানাইঘাট যেতে হবে। বাসে ভাড়া নেবে জনপ্রতি ৪৫-৫০ টাকা। তারপর কানাইঘাট বাজার থেকে নৌকাঘাটে গিয়ে সুরমা নদীর পথ ধরে লোভাছড়ার উদ্দেশে যেতে হবে নৌকায় চড়ে। জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং রিজার্ভ নিলে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা।
কানাইঘাট উপজেলা সদর থেকে লোভাছড়ার দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। উপজেলা সদর থেকে সড়ক ও নদীপথেও লোভাছড়ায় যাওয়া যায়। লোভাছড়ায় যাতায়াতের রাস্তাটির অর্ধেকেরও বেশি কাঁচা হওয়ায় খুবই কষ্ট করে সেখানে পৌঁছাতে হয়। তাই নদীপথে লোভাছড়ায় যাওয়াই সহজ রাস্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
এমজেএফ/এসআর
** রাতের ক্বিন ব্রিজে ‘ঝাল কম, ঝাল বেশি’
**উত্তাল হাকালুকির ঢেউয়ে ঢেউয়ে
**ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানায় স্মৃতির ধূলো
**টিলার ওপর দৃষ্টিনন্দন ফ্রুটস ভ্যালি
**পোস্টার-ব্যানারে ঢাকা এম এ রব চত্বরের নামফলক
** শীতল বনের খোঁজে বোকা বনে যাওয়া
**দিনের যাত্রী আসনই রাতের বিছানা