বিছানাকান্দি (সিলেট) থেকে: পূর্বে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়, পশ্চিমে বগাইয়া গ্রাম। মেঘালয়ের বিছানাকান্দি পাহাড় থেকে শো-শো শব্দে প্রবল বেগে পাহাড়ি ঝরনার পানি এসে মিলছে পিনাই নদীতে।
পাহাড়ি পাথরের উপর দিয়ে ঝরনার ধারা নেমে আসছে নদীতে, সেই পানিতে নেমে গা আর মন দুটোই জুড়িয়ে নিচ্ছেন পর্যটকরা।
ওপাশে ব্রিজের ওপর দিয়ে ভারতের সীমানায় গাড়ি চলাচল করতে দেখা যায় স্পষ্টভাবেই। নদী-পাহাড়-প্রকৃতির এই অপরূপ ক্যানভাস পর্যটকদের সহজেই বিমোহিত করে তোলে।
তবে শুধু মনের খোরাক মেটানোই নয়, এখানে রয়েছে উদরপূর্তিরও দারুণ ব্যবস্থা। পিনাইয়ের পানিতে দৃষ্টিনন্দন ‘জলপরী ভাসমান রেস্টুরেন্ট’।
পর্যটকরা চাইলে আনন্দ-ফূর্তির পর জলপরীতে ফ্রেশ হয়ে নিতে পারেন। এরপর উদরপূর্তি।
জলপরীর মালিক আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, বিছানাকান্দিতে অনেকে ঘুরতে আসেন, কিন্তু আশপাশে কোনো হোটেল ছিল না। পর্যটকদের খাবারের জন্যে একটি হোটেল দেওয়ার পরিকল্পনা সেই ভাবনা থেকেই। গত বছর এ ভাসমান হোটেলটি চালু করেন বলে জানান আনোয়ার।
তিনি জানান, প্রতিদিন এখানে ১০০ থেকে ১৫০ জন লোকের খাবার পরিবেশন করা হয়। তবে ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়।
মাছ-ভাত, অথবা মাংস-ভাত সঙ্গে যেকোনো এক আইটেমের ভর্তা এবং ডাল প্যাকেজ আকারে বিক্রি করা হয়। প্যাকেজের মূল্য ১৫০ টাকা।
এছাড়া আগে থেকে কেউ অর্ডার দিলে চাহিদা অনুযায়ী রান্না করে দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে বলেও জানান আনোয়ার হোসেন। বিছানাকান্দির ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে হাদারপার বাজার। সেখান থেকে চাল-ডাল কিনে এনে রান্না হয় জলপরীতে।
জলপরীর খাবারের জন্য অর্ডার দেওয়া যাবে ০১৯৩০৮৭৯৪১২ অথবা ০১৭৮৯১৪৯৪১৪ নম্বরে।
হোটেলে ফ্রেশ হওয়ার জন্য দুটি ওয়াশরুম রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে পর্যটক থাকা পর্যন্ত হোটেল খোলা থাকে।
জলপরী রেস্টুরেন্টে খেতে এসেছিলেন রোদেলা নামে এক তরুণী। ওই রেস্টুরেন্টে খাওয়ার অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, অসাধারণ! এভাবে ঝরনার পাশে খেতে পারব ভাবতেও পারিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০০২ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০১৬
এসএম/এসআর
** ডুবে ডুবে ঘাসও খায় তারা
**ছয় মাস কৃষক, ছয় মাস বেকার
** বর্ষায় মাঝি, শুকনায় রাজমিস্ত্রি
** পানি নয়, সাতছড়ির ছড়ায় এখন শুধুই বালু
**প্রকৃতিপ্রেমিদের জন্য অনন্য সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
** ভাড়াউড়া লেকের সৌন্দর্যে কালো মেঘ যোগাযোগ ব্যবস্থা
**লাউয়াছড়ায় ১৫ হেক্টরের মধ্যেই দর্শনার্থী সীমাবদ্ধ
**লাউয়াছড়ায় অর্থকরী ফসলের আত্মকথা
**নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন মিহির কুমার দো