শ্রীমঙ্গল থেকে: বাঙালিয়ানা খাবারে অতুলনীয় শ্রীমঙ্গলের নূর ফুডস। বাঙালি খাবারের স্বাদ নিতে হলে শ্রীমঙ্গলের নূর ফুডস অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আসতে ভুলবেন না।
স্বাদে ও মানে অতুলনীয় নূর ফুডস। এখানে সকল শ্রেণীর লোকের জন্য রয়েছে খাবারের সুব্যবস্থা। সকালের নাস্তায় চিকেন স্যুপ, ভুনা খিচুরি, পরোটা, তন্দুরি রুটি, ভাজি, মুগডাল ভুনা, খাসির মাংস ভুনা, চিকেন বিরিয়ানি।
দুপুরের খাবার মেনুতে থাকছে কাচ্চি বিরিয়ানি, চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন ফ্রাই, চিকেন কারি, মাটন কারি, মাগুর মাছের কারি, রুই কারি, শোল কারি, সরিষা ইলিশ, ছোট মাছ, পাবদা মাছ, বোয়াল মাছ। এছাড়া হাওরের বিশেষ কোনো মাছ থাকলেও সেটিও রাখা হয়। সঙ্গে থাকছে রকমারি ভর্তা।
সন্ধ্যায় বা রাতে পাবেন স্পেশাল নান রুটি, নরমাল নান, গার্লিক নান, চিলি নান, এছাড়া ভাত মাছ তো থাকছেই।
নূর ফুডে সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত খাবার পাওয়া যায়। ফাস্টফুডের মধ্যে কেক, বার্গার, শর্মা পাওয়া যাবে নূর ফুডে।
দুধ চায়ের জন্য নূর ফুডস শ্রীমঙ্গলে সবার কাছে জনপ্রিয়। গরুর দুধের চায়ে রয়েছে অন্যরকম স্বাদ।
নূর ফুডের মালিক মো. নূর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমার কাছে ব্যবসার চাইতে মানুষের ভালো মানের খাবার পরিবেশন করাই লক্ষ্য। হোটেল ব্যবসা মানে মানুষের সেবা করা। আমি চাই সেরাটি দিতে।
১৯৮১ সালে নোয়াখালীর সন্তান নূর ইসলাম শ্রীমঙ্গলে ‘নোয়াখালী হোটেল’ নামে একটি রেস্টুরেন্ট চালু করেন। সেই হোটেল থেকে এখন আরো একটি হোটেল ‘নূর ফুডস অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট’ করেন তিনি।
নূর ফুডে বাঙালিয়ানা খাবার তৈরিতে রয়েছে পাঁচজন বাবুর্চি। এদের মধ্যে প্রধান বাবুর্চি বরিশালের সুজন মাঝি। সব মিলিয়ে ৩০ জন এই রেস্টুরেন্টে কাজ করেন।
কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে খাবারের অর্ডার দিলে পার্সেল করে দেন নূর ফুডস। দুই হাজার লোকের খাবার অর্ডার দিলেও নূর ফুডস মুহূর্তেই তৈরি করে দিতে পারে। এছাড়া এক সঙ্গে ৭০ জন লোক বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই রেস্টুরেন্টে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
এসএম/আরএইচএস
আরও পড়ুন...
**চা শ্রমিকদের স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জেরিন
** জেরিনের মায়ায় বাধা ১১শ’ চা শ্রমিকের জীবন
** ‘বাংলার আমাজন’ রাতারগুল
** মেঘ-পাহাড়-ঝরনা-নদীর মুগ্ধতা পানতুমাইয়ে
** বিছানাকান্দির জলের ওপর ‘জলপরী’
** ডুবে ডুবে ঘাসও খায় তারা
** ছয় মাস কৃষক, ছয় মাস বেকার
** বর্ষায় মাঝি, শুকনায় রাজমিস্ত্রি
** পানি নয়, সাতছড়ির ছড়ায় এখন শুধুই বালু
** প্রকৃতিপ্রেমিদের জন্য অনন্য সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
** ভাড়াউড়া লেকের সৌন্দর্যে কালো মেঘ যোগাযোগ ব্যবস্থা
** লাউয়াছড়ায় ১৫ হেক্টরের মধ্যেই দর্শনার্থী সীমাবদ্ধ
** লাউয়াছড়ায় অর্থকরী ফসলের আত্মকথা
** নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন মিহির কুমার দো