খাগড়াছড়ি থেকে: পার্বত্য এলাকায় পর্যটন উন্নয়নের জন্য সবাইকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।
এই সমন্বিত উদ্যোগের মধ্যে পাহাড়ি-বাঙালি সম্প্রীতির ওপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে নিয়ে কমিটি গঠনের তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
তবে সবার আগে যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন জরুরি বলে মত দেন তিনি।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের বাংলোতে বসে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ মত প্রকাশ করেন।
ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পর্যটন পার্বত্য জেলা পরিষদের উপর ন্যস্ত থাকলেও এর উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। কেননা পর্যটনের সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় জড়িত।
তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়িতে পর্যটন এখনও প্রাথমিক স্তরে আছে। এর উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ভালো ট্রান্সপোর্টের ব্যবস্থা, পর্যটকদের নিরাপত্তা, মুক্ত যাতায়াত, পর্যাপ্ত ও ভালোমানের আবাসন ব্যবস্থা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সরকারের বিভিন্ন বডির উন্নয়ন প্রকল্পের সমন্বয় দরকার।
‘খাগড়াছড়ি জেলার পর্যটন স্পটগুলোর উন্নয়ন দরকার। এখানকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি এক সময় পর্যটন বিমুখ থাকলেও এখন তারা পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছেন। পর্যটন এলাকায় তারা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। এতে করে পর্যটকদের নিরাপত্তা ও পর্যটনের প্রসার দুই-ই বৃদ্ধি পেয়েছে। ’
ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, পর্যটকরা ভ্রমণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে আগে নিরাপত্তার কথা ভাবেন। এরপর যোগাযোগ ব্যবস্থা ও আবাসনের কথা ভাবেন। সুতরাং পর্যটনের স্বার্থে এ তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, খাগড়াছড়ি জেলার উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (BEZA) জেলার আলুটিলা পর্যটন স্পটের ৬শ’ ৪০ একর ভূমি উন্নয়নের জন্য কয়েকশ’ কোটি টাকার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে।
খাগড়াছড়িতে আলুটিলার রহস্যময় গুহা, রিছাং ঝর্ণা, পানছড়ির অরণ্য কুটিরসহ অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এছাড়াও রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন স্পট সাজেক যাওয়ার জন্য পর্যটকরা খাগড়াছড়ি রুট ব্যবহার করেন। এসব দর্শনীয় স্থানের উন্নয়ন ও পর্যটকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
এমআই/আরএইচএস