ঢাকা, রবিবার, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬
আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথে ছবি: মাহবুব আলম-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খাগড়াছড়ি থেকে: মোটামুটি সমতলেই চেঙ্গি নদীর পশ্চিম তীরের ছিমছাম শহর খাগড়াছড়ি। শহরটির চারদিক ঘিরে রেখেছে ছোট-বড় অসংখ্য পাহাড়-টিলা।

পূবের পাহাড়টি আলুটিলা, যার চূড়া থেকে মোটামুটি পুরো শহর ধরা দেয় পাখির চোখে। সমভূমি থেকে পিচঢালা সড়কটি গিয়ে মিশেছে উঁচু পাহাড়ে, যা পর্যটকদের মনে সৃষ্টি করে নতুন এক আকর্ষণের।

অন্য দুই পার্বত্য জেলা থেকে খাগড়াছড়ি ভিন্ন। এখানকার সমভূমিতে নিয়মিত ধান চাষ হয়। ফলে নানা প্রজাতির ফল কিংবা শস্যও।

শহরটির শাপলা চত্বর থেকে আদালত রোড হয়ে সোজা সড়কটি চলে গেছে রাঙ্গামাটির মারিশ্যায়।

পাহাড়ের ঢালুতে খাদের পাশের এ সড়কটি দিয়ে যাওয়ার সময় রোমাঞ্চিত হবেন যে কেউ।

শহর থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরের খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-মারিশ্যা রাস্তার পাশের  টিলাটিও বেশ পরিচিত। এ টিলায় দাঁড়ালে পৃথিবীর গোলাকৃতির এক চমৎকার নমুনা উপভোগ করা যায়। পরিচিত হওয়া যায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনাচরণের সঙ্গে।

অটো বা চাঁদের গাড়িতে যাওয়ার সময় পাহাড়ি কাঠুরিয়া নারীদেরও দেখা মিলবে।

খাগড়াছড়ি থেকেই শুরু বন্ধুর পথ! দু’পাশেই  আকাশচুম্বী পাহাড়ের বুকে সুউচ্চ শিখর তুলে দাঁড়িয়ে আছে বৃক্ষরাজি। দীর্ঘজীবী নাম না জানা অনেক গাছেরও দেখা মেলে এ পথে, হঠাৎ চোখে পড়ে বিচ্ছিন্ন বসতিও।

দেখা যায় পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জুম চাষ। কয়েক ধরনের জুম চাষে ভরপুর এসব উঁচু-নিচু অঞ্চল।

দূরের পাহাড়ে মেঘের গড়াগড়ি দেখতে দেখতেই এ সড়ক ধরে পর্যটকরা ছুটে যান সাজেক ভ্যালিতে কিংবা মারিশ্যার দিকে।

পথিমধ্যে দেখা মিলবে হাজাছড়া ঝরনার অপরূপ দৃশ্যলীলা কিংবা পাহাড়ি গাঁয়ের কোনো ছোট্ট বাজারের, যেখানে তাজা ফল পাওয়া যায়

দেখে নেওয়া যায় রাজা মানিক্যার দীঘি, যার নামে নামকরণ করা হয়েছে দীঘিনালার। পথে পড়ে তৈদুছড়া ঝরনা আর শিবছড়ি পাহাড়

৬০ ফুট চওড়া দু’টি সর্প আকৃতির কৃষ্ণের শিলা আসন ও দু’টি কৃষ্ণের গরুর বাহন রয়েছে এ পাহাড়ে। তৈদুছড়ায় যেতে মূল সড়ক থেকে বেশ কিছুটা পথ হাঁটতে হবে।

এখানে পাহাড়ের গায়ে হেলান দিয়ে যেনো আকাশ ঘুমায়।

যেভাবে যাবেন

প্রথমে যেতে হবে খাগড়াছড়ি হয়ে দীঘিনালায়। ঢাকা থেকে শান্তি পরিবহন, বিআরটিসি (এসি বাস), সেন্ট মার্টিন (এসি বাস), শ্যামলী, সৌদিয়া, ঈগল পরিবহনে আসা যায় এখানে। ভাড়া ৬শ’ টাকা।

চট্টগ্রাম থেকেও এক ঘণ্টা পর পর শান্তি পরিবহনের গাড়ি ছাড়ে, ভাড়া ১৯০ টাকা। খাগড়াছড়ি পৌঁছে চাঁদের গাড়ি, পিক-আপ বা অটোরিকশা পাওয়া যায়। এসব গাড়ি রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৩ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা। পাওয়া যায় ভাড়ার মোটরসাইকেলও।

**খাবারের দামটাই যা বেশি তূর্ণা নিশিথায়

**পাহাড় থেকে বাজারে নেমে গেছে ‘ভাগের মা’ সড়কটি

**ফলদ-বনজে বিমুগ্ধ ফ্রুটস ভ্যালি

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪  ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৬ 

এমএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ