ঢাকা, শনিবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

সাজেকের সূর্য ঘড়ি

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
সাজেকের সূর্য ঘড়ি ছবি: দেলোয়ার হোসেন বাদল/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাজেক (রাঙ্গামাটি) ঘুরে: ঘড়ির টিক টিক আওয়াজ নেই। সেকেন্ডের কাঁটার অবিরত ছোটাছুটি নেই।

নেই ঘড়িতে দম দেওয়া, ব্যাটারি বদলানো কিংবা ইলেকট্রিক পাওয়ার দেওয়ার ঝামেলা। একবার নির্মাণের পর যুগ যুগ ধরে সময় বলে দেয় যে ঘড়ি তার নাম সূর্য ঘড়ি।

রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতে রয়েছে এমনই একটি দৃষ্টিনন্দন সূর্য ঘড়ি। পর্যটকরা সূর্য ঘড়ির মাধ্যমে সময় নির্ণয় করতে পুলকিত হন। ঘড়িটির পেছনের অংশে রয়েছে দিক নির্দেশক চিহ্ন।

এই ঘড়িতে রয়েছে দিক নির্দেশক তীরের ফলার মতো আনুভূমিক লোহার পাত, নিচে একটি গোলাকার চাকতিতে এর ছায়া পড়ছে। ১৮০ ডিগ্রি কোণে বাঁকানো এ চাকতির ভেতরের সমতল পৃষ্ঠে ১ থেকে ১২ পর্যন্ত অংক দাগাঙ্কিত আছে। অংকগুলো ঘণ্টা নির্দেশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

লোহার পাতটির ওপর সূর্যের আলো পড়লে তার ছায়া সমতল চাকতির যে অঙ্কের উপর পড়ে তখন ততটা বাজে।

তার পাশে আরও একটি ছোট আকৃতির মিনিট নির্দেশক রয়েছে। সূর্যের অবস্থান পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে এর ছায়ার অবস্থানও পরিবর্তিত হয়। পরিবর্তন হয় সময়েরও।

সীমিত সংখ্যক পর্যটক স্থাপনা দেখে বুঝতে পারলেও অনেক পর্যটকই বুঝতে পারেন না তার সামনে আছে সূর্য ঘড়ি। যার কোথাও নামফলক নেই। কবে ঘড়িটি স্থাপিত হয়েছে তাও লেখা নেই কোনো স্থানে।

ঢাকার মালিবাগ থেকে সপরিবারে বেড়াতে আসা সুজনের স্ত্রীর কাছে এর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি তার কোন উত্তর দিতে পারেননি।  

তবে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, জিনিসটি কমন না হওয়ায় আমরা এটি চিনতে পারিনি। এমন অনেকেই এটি চিনতে পারবেন না। তাই কোনো স্থানে সূর্য ঘড়িটির পরিচয় ও স্থাপনের সাল উল্লেখ থাকলে সাধারণ পর্যটকদের বিষয়টি জানতে সুবিধা হয়।

সূর্য ঘড়ি দৃষ্টিনন্দন হলেও শুধু দিনের বেলায় সূর্যের আলো থাকা সাপেক্ষে এটি কাজ করে। রাত্রে এটি কোনো কাজে লাগে না। বিভিন্ন ঋতুতে সূর্যের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে সূর্য ঘড়িতে সব সময় সঠিক সময় দেয় না। একটি আনুপাতিক সময় পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরাতন সূর্য ঘড়ি ঢাকার বলধা গার্ডেনে অবস্থিত। এটি ১৯০৯ সালে স্থাপন করা হয়।

** নয়নাভিরাম খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ পার্ক 
** জার্নি টু সাজেক
** সর্পিল পথের বাঁকে বাঁকে ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য
** ‘ধরলে বলবেন পর্যটক’

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৬
এমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ