কাপ্তাই লেক ঘুরে: পূর্ব দিকের পাহাড়ি কোনো একটা ঝোপ থেকে যেনো হঠাৎ উকি দিচ্ছে সূয্যি মামা। আর তার আলোর আভা গিয়ে পড়ছে লেকের পানিতে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম লেক কাপ্তাইয়ের পশ্চিম পাড় থেকে এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
সূর্যোদয়ের দেশ জাপান হলেও কাপ্তাই লেক থেকে দেখলে মনে হবে যেনো শুধু বাংলাদেশকে আভা বিলাতে প্রতিদিন জাগছে রবি।
সবুজাভ পাহাড় থেকে সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে লেকের পানির রঙ পরিবর্তন হয়, বদলে যায় প্রকৃতির দৃশ্য। যা যে কাউকে বিমোহিত করতে বাধ্য! এভাবেই যেনো সাজে প্রকৃতি।
দার্জিলিংয়ের প্রায় ৮ হাজার ফুট উচু টাইগার হিল থেকে সূর্যোদ্য় দেখতে ভিড় জমায় লাখ লাখ মানুষ। প্রতি ভোরেই রাশি রাশি মেঘের পাজা ভেদ করে কাঞ্চনজঙ্গা কিংবা হিমালয় থেকে আভা ছড়ায় সূয্যি মামা।
বাংলাদেশেও কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদ্য় দেখা যায়। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকের প্রায় হাজার ফুট উচু পাহাড়ের চূড়ায় থেকেও দেখা মেলে রবির উদয়ক্ষণ।
ভোরে রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা সড়ক ধরে এগিয়ে গেলেই সূর্য-মেঘের খেলার এ দৃশ্য চোখে পড়বে।
এছাড়া লেকের পাড় ধরে আঁকা-বাঁকা ওই পাহাড়ি রাস্তাটায় গেলে যে কারও পিছুটান ভুলিয়ে স্বর্গে নিয়ে যাবে প্রকৃতি।
বংলাদেশ সময়: ০৭২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এমএ/এসআর