ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

ঝরনা, নদী-পাহাড়ের দেশ থানচি: পর্যটকদের প্রয়োজন নেটওয়ার্ক

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৬
ঝরনা, নদী-পাহাড়ের দেশ থানচি: পর্যটকদের প্রয়োজন নেটওয়ার্ক ছবি: আবু বকর

থানচি (বান্দরবান) ঘুরে: পর্যটকদের একই সঙ্গে ঝরনা, নদী এবং পাহাড় দেখার জায়গা থানচি। এই তিনের সমন্বয়ে অপূর্ব রূপ তৈরি হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক দুর্বলতা এখানকার পর্যটনের প্রধান বাধা বলে মনে করেন থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহাঙ্গীর আলম।

বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে দেশের শেষ সীমানার জেলা বান্দরবানের থানচি উপজেলার পর্যটন সম্ভাবনা এবং সমস্যাগুলো থলে ধরেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

পর্যটন বর্ষে বাংলানিউজের ‘বছরজুড়ে দেশঘুরে’ আয়োজনে ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় ইউএনও’র দফতরে সন্ধ্যায় হাজির হয় বাংলানিউজ টিম। থানচিতে খরস্রোতা নদীর বিপরীতে নৌকা চালিয়ে রোমাঞ্চকর যাত্রায় অপূর্ব রূপে কুমারী ঝরনা, নাফাকুম ঝরনাসহ ছোট-বড় অনেক ঝরনা, বড় পাথর এবং রেমাক্রি বাজার যাওয়ার পথে পাথর পাহাড় দর্শনার্থীদের কাছে অতি প্রিয়।


ইউএনও জানান, যত দূর চোখ যায় শুধুই পাহাড় আর পাহাড়। বিচিত্র সব পাহাড়; ছোট, বড় কিংবা মাঝারি। একই সয্গে নদী এবং ঝরনার রূপ দেখতে পায় দর্শনার্থীরা।

পাহাড়ঘেরা থানচিতে পর্যটনের বিশাল সম্ভাবনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বান্দরবানই পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠবে। কারণ এখানে বিভিন্ন আকৃতির পাহাড়, নদী পথ এবং ঝরনা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে সহজেই।

তবে পর্যটনের প্রধান বাধা যোগাযোগ ব্যবস্থা। ইউএনও বলেন, পার্শ্ববর্তী আলী কদমের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ভালো না হওয়ায় এখানে পর্যটকরা বাধাগ্রস্ত হন। এই বাধা দূর করতে হবে। পাশাপাশি থানচিতে পর্যটকদের আবাসনের সমস্যা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখানো বিজিবির ‘সীমান্ত অবকাশ’ ছাড়া থাকার কোনো ভালো ব্যবস্থা নেই।
 
‘আমাদের টার্গেট আছে বাণিজ্যিকভাবে আবাসনের ব্যবস্থা করা। যাতে পর্যটকরা নিশ্চিতে এখানে থাকতে পারে। ’
পাশাপাশি আশার কথা প্রাইভেট কোম্পানি বিনিয়োগ শুরু করেছে বলে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বিদ্যুৎহীন থানচিতে বৈদ্যুতিক লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, হয়তো আগামী মাসে বিদ্যুৎ চালু হবে। তখন পর্যটকদেরও সুবিধা হবে।

থানচিতে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক এবং বেসরকারি রবি’র নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। তবে তাও দুর্বল। পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং সড়ক যোগাযোগ সম্প্রসারণ হলে এখানে আরও পর্যটক আসবে বলে মনে করেন ইউএন।

** নাফাকুম যাত্রা, সত্যিই দুঃসাহসিক!

** পথে পথে 'ডিম্ব পাথর'
** সাঙ্গুর বাঁকে 'ডিম’ পাহাড়ে, বিকেলেই সূর্য ডুবে!
** দুর্গম পাহাড়ের আড়ালে অপূর্ব দু’টি ঝরনা
** লেকের ধারে পাহাড়পাড়া, মেঘের কোলে স্বর্গীয় লীলাভূমি!
** ঝরনায় ফেলছে বোতল-প্লাস্টিক, দেখার নেই কেউ?
** টাকার গাছ!
** পাহাড়ি ঝরনায় পর্যটকের সঙ্গী যখন মুলি বাঁশ
** পাহাড়িদের প্রিয় খাবার নাপ্পি’র সাতকাহন
** সাদা রঙের হলুদ আর আদা ফুল অনন্য, পর্যটকের কাছেও আকর্ষণীয়
**  ভরা মৌসুমে পর্যটক টানছে পাহাড় ঘেরা খাগড়াছড়ি
** পাহাড়ে উদ্ভাবিত ফলের জাত ছড়াচ্ছে সারাদেশে
** ওয়ান স্টপ সার্ভিসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বান্দরবান পুলিশ

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৬,
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ